কৃষ্ণনগর: কলকাতা থেকে একদিনে ঘুরে নেওয়া যায় কৃষ্ণনগর। ভোরবেলা যাত্রা শুরু করলে রাতের মধ্যে বাড়ি ফিরতে আসতে পারেন। কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরের দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। কৃষ্ণনগরে ঘুরে দেখুন দুর্গামন্দির, রোমান ক্যাথলিক চার্চ ইত্যাদি জায়গা। যাওয়ার পথে ঘুরে নিতে পারেন ফুলিয়া আর বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য। যেতে পারেন কৃত্তিবাসে ও বাবলা গ্রামেও।
বিষ্ণুপুর: গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন বিষ্ণুপুরের উদ্দেশ্যে। এখানে ঘুরে দেখতে পারেন টেরাকোটার মন্দিরগুলো। সময় কাটাতে পারেন জয়পুরের জঙ্গলে। দু’ধারে শাল, সেগুন, বহেড়া, মহুয়ার সারি। প্রকৃতির মাঝে লাঞ্চ সারতে পৌঁছে যেতে পারেন বনলতায়।
টাকি: ১ জানুয়ারি দুপুরটা কাটানো যেতে পারে টাকিতে। নতুন বছরটা শুরু করতে পারেন ইছামতির ধারে। যেতে পারেন গোলপাতার জঙ্গলেও। একবেলাতেই ঘুরে নেওয়া যায় এই জায়গা। বাসন্তী হাইওয়ে ধরে দু’ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছনো যায় টাকি।
ক্ষীরাই: পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরাইয়েজায়গাটি শীতে ঘুরে আসাই যায়। সকালের ট্রেন ধরলে দুপুরে ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যে হাওড়া ফিরতে পারবেন। এখানে ফুলের চাষ হয়।
মাইথন: আসানসোল থেকে যেতে হয় মাইথন। সকালে বেরোলে ২-৩ ঘণ্টাতেই পৌঁছনো যায় মাইথনে। রোমাঞ্চ চাইলে আছে স্পিডবোটও। একটি গাড়ি ভাড়া করলে ডিয়ার পার্ক, পাঞ্চেৎ জলাধার-সহ আশপাশে বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে নেওয়া যায়।
হংসেশ্বরী মন্দির: ৫ তলা এই মন্দিরে রয়েছে ১৩টি চূড়া। চূড়ার মাথায় পদ্মের কুঁড়ি। মন্দিরে আরাধ্যা দেবী হংসেশ্বরী, মা কালীর আর এক রূপ। হাওড়া-কাটোয়া লাইনে বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে নেমে হংসেশ্বরী মন্দিরে আসতে পারেন।
সবুজ দ্বীপ: হুগলি নদীর বুকে তৈরি হয়েছে একটি চর। গাছগাছালি ভরা সেই স্থানই সবুজ দ্বীপ নামে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে এটি পিকনিকের স্থান হলেও মাঝেমধ্যেই পর্যটকেরা সেখানে ভিড় করেন। হাওড়া-কাটোয়া লাইনের সোমড়াবাজার স্টেশনের অদূরেই রয়েছে ফেরিঘাট। সেখান থেকে নৌকোয় ২০ মিনিটের পথ।
বেনাপুর চর: কলকাতা থেকে ঘণ্টা দুয়েকের দূরত্বে হাওড়ার বাগনানে রূপনারায়ণের পাড়ে বেনাপুরের চর। শীতের দিনে চাদর পেতে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটানো যায় এখানে। ঘাসজমিতে বসে পছন্দের খাবার খেতে খেতে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারেন দিনভর। সূর্যাস্ত দেখে ফিরতে ভুলবেন না। এখান থেকে ঘুরে নিতে পারেন দেউলটি। সেখানেই রয়েছে সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবন এবং প্রদর্শনশালা।