করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডায়বেটিস রোগীদের সমস্যার কথা বলা হয়েছিল। অনেক করোনা রোগীদের দেগে করোনা পরেও ডায়াবেটিস সমস্যা হয়েছে। এমন অবস্থান ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণেরও ঝুঁকি দেখা গিয়েছে।
ডায়বেটিস রোগীদের জন্য করোনার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ রোগ। তাই জন্য চিকিৎসকরা ডায়বেটিস রোগীদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার প্রায়ই ওঠানামা করে। পাশাপাশি অন্যান্য রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত সংক্রমণকে প্রথমে চিহ্নিত করে, তারপরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যদিও এর ফলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু এটা সাধারণ ব্যাপার। তবে ভ্যাকসিন কোনও ভাবেই ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করে না।
এইমস ভোপালের ডিরেক্টর ডঃ সরমন সিং জানান, করোনার ভ্যাকসিন শরীরের ব্লাড সুগার বৃদ্ধি করে না। এই দুটির মধ্যে কোনও সম্পর্কই নেই। তবুও শরীরে ব্লাড সুগার বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা, সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিত ।
যত দ্রুত সম্ভবত প্রত্যেককে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরেই করোনার তৃতীয় ঢেই আছড়ে পড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দ্রুত সম্ভবত সবাইকে তৈরি হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই যেভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তার থেকে এবার সাবধান থাকার পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই সবাইকে টিকাকরণ করতে রাখতে বলা হচ্ছে।
তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়বেটিসের সঙ্গে ব্লাড সুগারের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ইঞ্জেকশন দেওয়া হলে কিছু ব্যাথা হতে পারে শরীরে।
ভ্যাকসিনে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। তবে কিছু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। এমনটাই মত চিকিৎসকদের।
তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সাবধান থাকা উচিত। কারণ বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে নিজের ব্লাড সুগার কন্ট্রোলে রাখা উচিত।