এই বছর ছটপুজোর পর্ব শুরু হয়েছে ২৫ অক্টোবর থেকে। যা চলবে ২৮ অক্টোর পর্যন্ত।
এই চারদিন ধরে চলা মহাপর্বে পারম্পরিক এবং পুষ্টিতে ভরা ব্যাঞ্জন খাওয়া হয়ে থাকে।
ঠেকুযা ছাড়াও রয়েছে বেশ অনেক রকমের ভোগ, যা এই সময় খাওয়া হয়ে থাকে।
ঠেকুয়া
ছটপুজো ঠেকুয়া ছাড়া অসম্পূর্ণ। ছটের প্রসাদে ঠেকুয়া প্রধান। ঠেকুয়া তৈরি হয় আটা অথবা ছোলার ডালের আটা দিয়ে। এতে গুড়, নারকেল, ঘি দেওয়া হয়। বিস্কুটের মতো খাস্তা হয়। এটা শরীরকে এনার্জি দেয় ও খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে।
লাউ ভাত
ছটপুজোর পর্বের শুরুতেই লাউ ভাত প্রসাদ হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। ছোটলার ডালের সঙ্গে লাউ দিয়ে রান্না করে তা ভাতের সঙ্গে খাওয়া হয়। লাউ সহজে হজম ও ইমিউনিটিকে মজবুত করে।
বাতাবি লেবু
ছটপুজোর উপোস দীর্ঘ সময়ের জন্য হয়ে থাকে। এরকম সময়ে বাতাবি লেবু খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।
কাসার লাড্ডু
চালের গুঁড়ো অথবা আটার সঙ্গে গুড়, ঘি এবং মৌরি মিশিয়ে এই বিশেষ লাড্ডুটি বানানো হয়। বিভিন্ন উপকরণের এই সংমিশ্রণ ঠান্ডার সময়ে শরীরকে গরম রাখে। স্বান্ধ্য অর্ঘ্য হিসাবে এটি নিবেদন করা হয়।
ছোলার ডাল
ছোলার ডালের মধ্যে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, ধনে গুঁড়ো ফোড়ন দিয়ে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা এই ডাল বানানো হয়।
রাসিয়া
চাল এবং গুড় দিয়ে বানানো হয় এই সুস্বাদু পায়েসটি। বানানোর পরে গরম পুরির সঙ্গে ভোরবেলায় এটি সূর্যদেবকে নিবেদন করা হয়।
পুরী
বাঙালির প্রিয় লুচির মতোই, কিন্তু তার থেকে একটু মোটা এই পুরি বানানো হয়, যা রাসিয়া, ঘি সবজি অথবা চানা ডালের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।