করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে সারা বিশ্বের মানুষ ভীত। করোনার সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় থেকে এখন অবধি অনেক গবেষণা হয়েছে এবং এর লক্ষণগুলি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে। এই ভাইরাসটি কীভাবে ধীরে ধীরে দেহে আক্রমণ করে তা গবেষণায় বর্ণিত হয়েছে। করোনার ভাইরাস থেকে সেরে উঠতে ১৪ দিন মতো সময় লাগে। এই সময়কালকে ইনকিউবেশন পিরিয়ডও বলা হয়।
প্রথম দিন - প্রায় ৮৮% মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রথম দিন জ্বর এবং ক্লান্তি অনুভব করে। প্রথম দিনেই অনেকে পেশী ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। চাইনিজ স্টাডির একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ জ্বর হওয়ার পর ডায়রিয়া বা গা বমি ভাব অনুভব করেন।
দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিন - জ্বর এবং কাশি থাকে দ্বিতীয় দিন থেকে চতুর্থ দিন পর্যন্ত। অনেকেই স্বাদ ও গন্ধহীন হয়ে পড়েন।
পঞ্চম দিন - করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পঞ্চম দিনে আপনার শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। এটি বিশেষত প্রবীণ বা আগে থেকেই যারা শারীরিক অসুস্থ, সেই সমস্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে। তবে ভারতে ছড়িয়ে পড়া নতুন স্ট্রেনে অনেক অল্প বয়সীরাও শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করছেন।
ষষ্ঠ দিন- ষষ্ঠ দিন কাশি ও জ্বর থাকে। অনেকে এদিন থেকে বুকে ব্যথা, চাপ এবং প্রসারিত অনুভব করেন।
সপ্তম দিন- আক্রান্ত হওয়ার সপ্তম দিনে বুকে তীব্র ব্যথা হয় এবং চাপ বেড়ে যায়। শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। অনেকের ঠোঁট এবং মুখ নীল হয়ে যায়। বহু আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার পড়ে।
তবে, কোভিডের হালকা এবং মাঝারি উপসর্গযুক্তদের সপ্তম দিন থেকেই শরীর কিছুটা ভাল হতে শুরু করে। যাদের খুব হালকা লক্ষণ ছিল তাঁরা এদিন থেকে ধীরে ধীরে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি ফেরত পেতে শুরু করেন।
অষ্টম-নবম দিন- চিনের সিডিসির মতে, অষ্টম-নবম দিনে করোনার প্রায় ১৫ শতাংশ রোগী তীব্র শ্বাসকষ্টের লক্ষণ অনুভব করেন। এই পরিস্থিতিতে ফুসফুসে তরল গঠন শুরু হয় এবং ফুসফুসে পর্যাপ্ত বাতাস থাকে না। এ কারণে রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে।
দশম দিন - একাদশতম দিন - শ্বাসকষ্ট বেশি হয় এবং অবস্থার আরও অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়। একই সময়ে, পরিস্থিতি একটু ভাল হলে, এদিন অনেক রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দ্বাদশ দিন- উহানের একটি গবেষণা অনুসারে, বেশিরভাগ লোকের দ্বাদশ দিন জ্বর সেরে যায়। তবে অনেকের তখনও কাশি থাকে।
ত্রয়োদশ- চতুর্দশ দিন - এই সময় থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্ট কম হতে শুরু করে।
অষ্টাদশ দিন- রিপোর্ট অনুসারে, প্রথম দিন থেকে চোদ্দ দিন পর্যন্ত, সংক্রমিত ব্যক্তিদের শারীরিক অবস্থা উন্নত হয় ঠিকই। তবে যদি ১৮ দিনেও অবস্থা গুরুতর থেকে যায় তবে এটি উদ্বেগের বিষয় হতে পারে।