করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুধু বয়স্ক না, শিশু ও তরুণদের জন্যেও অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাজধানী দিল্লি সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কোনও রকম লক্ষণ দেখা মাত্র পরীক্ষা করাতে।
যদিও করোনার সব লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও কোভিড রিপোর্ট অনেকেরই নেগেটিভ আসছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জেনে নিন ঠিক কী করবেন।
কখন টেস্ট করাবেন
স্বাস্থ্য দপ্তর অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণগুলি হল- জ্বর, গা হাত পায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা, স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও চোখ লাল হয়ে যাওয়া, পেটের সমস্যা, কানের সমস্যাও হচ্ছে অনেকের। এর মধ্যে যে কোনও সমস্যা হলে অবশ্যই টেস্ট করাতে হবে।
কখন টেস্ট করানোর প্রয়োজন নেই
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে, যদি আপনার ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে থাকে এবং দু'সপ্তাহের বেশি সময়ে কোনও রকম লক্ষণ না থাকে তাহলে কোভিড টেস্টের প্রয়োজন নেই।
করোনার কোন টেস্টটি করাবেন
আরটি-পিসিআর (RT-PCR)- টেস্টকে সবচেয়ে সঠিক বলে মনে করা হয়। যদিও 'র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট' (RAT)-এ তাৎক্ষণিক রিপোর্ট পাওয়া যায়। সাধারণত এর মাধ্যমেই আক্রান্ত ব্যক্তির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও যদি কোভিডের লক্ষণ থাকে তাহলে অবশ্যই আরটি-পিসিআর টেস্ট করানো প্রয়োজন।
সিটি ভ্যালু
সিটি স্কোর ও সিটি ভ্যালু দুটো আলাদা জিনিস। সিটি ভ্যালুর অর্থ 'সাইকেল থ্রেসহোল্ড ভ্যালু' যেটি কোনও আক্রান্তের শরীরে ভাইরাসের মার্কার হিসাবে কাজ করে। সিটি ভ্যালু যত কমে যায়, সেই রোগীর জন্য সেটা আরও বেশি ক্ষতিকর।
সিটি স্কোর
কোভিড রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকেরা রোগীর বুকের সিটি স্ক্যান করতে বলেন। সিটি স্ক্যানে উচ্চ স্কোর থাকলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
সংক্রিমত হওয়ার সম্ভবনা কোন ক্ষেত্রে বেশি
চিকিৎসকের মতে, ৬ ফিট দূরত্বের মধ্যে কোনও কোভিড আক্রান্তের সঙ্গে ১৫ মিনিটের বেশি সময় থাকলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি। অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকুন। বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।