তৎকালীন ব্রিটিশ গভর্নর-জেনারেলের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হত এই বাড়িটি। পরবর্তীতে গ্রন্থাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ভারতের সর্ববৃহৎ এই গ্রন্থাগারের সঙ্গে জুড়ে আছে কিছু ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প। রাতে যাঁরা এখানে পড়াশোনার কাজে কাটিয়েছেন, তাঁদের কারও কারও দাবি– বিশাল দেওয়ালে গভর্নরের স্ত্রী লেডি মেটকাফের বিবর্ণ ছায়া দেখা যায়। শোনা যায় তাঁর পায়ের শব্দও।
রেসকোর্স বা রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব নামের এই জায়গাটি নিয়েও আছে বহু গা ছমছমে গল্প। কথিত, জর্জ উইলিয়ামস নামে এক ব্যক্তি এই রেসকোর্সে একদা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে তাঁকে এই রেসকোর্সেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মানুষের বিশ্বাস, এখনও পূর্ণিমা রাতে সাদা ঘোড়ার সঙ্গে তাঁকে রেস ট্র্যাকেই দেখা যায়।
কলকাতা শহরের বুকে এই মেট্রো স্টেশনটিও নাকি ভূতুড়ে! বহু মানুষের বিশ্বাস, এখানে আত্মঘাতী মানুষদের আত্মা এই স্টেশন চত্বরেই ঘুরে বেড়ায়। অনেকে নাকি স্টেশনের স্তম্ভের পিছনে ছায়া দেখেছেন।
কলকাতা ডক বা খিদিরপুর ডক হল কলকাতার এক বহু পুরনো ডক। কথিত, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্যের কালে নবাব ওয়াজেদ আলি শাহকে ব্রিটিশেরা বিশ্বাসঘাতকতা করে মেরে ফেলেছিল এই ডকেই। বিভিন্ন সময়ে বহু নাবিক ও ব্যবসায়ী নাকি এই অঞ্চলে একটি ছায়াকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। অনেকে বিশ্বাস করেন যে, সেই ছায়া নবাবের শোকাহত আত্মার।
কলকাতা মল্লিকঘাট ফুলবাজারের কাছে হাওড়া ব্রিজের নীচেই রয়েছে গঙ্গার একটি ঘাট, ভূতুড়ে ঘটনার জন্য যেটি রীতিমতো কুখ্যাত। অনেকে এখানে গঙ্গার মধ্যে থেকে একটি হাত বেরিয়ে থাকতে দেখা যায় বলে দাবি করেন।
এই বাড়ি নিয়েও বহু জল্পনা আছে। অনেকের মতে, এই পরিত্যক্ত বাড়িটি নাকি ভূতুড়ে। কিছু লোক এখানে নীচের তলায় বসবাস করেন। উপরের সিঁড়িগুলি আর ব্যবহার হয় না। উপরতলার অনেক ঘরও তালাবন্ধ থাকে। কথিত, বৃটিশ যুগে বাংলার জমিদারদের হাতে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা-সহ বহু নারী-নির্যাতনের সাক্ষী ছিল এই বাড়িটি। সেই সব মৃত মহিলাদের শোকাহত আত্মারা নাকি এই বাড়িতে এখনও ঘুরে বেড়ায়।
এই কবরস্থানটি নিয়েও অজস্র ভৌতিক কাহিনি। ব্রিটিশশাসিত ভারতে কলকাতার প্রাচীনতম কবরস্থান এটি। এখানে বিভিন্ন বড় বড় পদাধিকারী ব্রিটিশ সাহেবদের সমাধি আছে। ১৭৬৭ সালে নির্মিত এই কবরস্থানটিতে বিভিন্ন অলৌকিক কার্যকলাপ একে ভূতুড়ে তকমা দিয়েছে। যেমন, আচমকা ক্যামেরার কাজ করা বন্ধ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ অসুস্থ বোধ করা, ছায়া দেখতে পাওয়া ইত্যাদি।
এই বাড়িটিও ভূতুড়ে বলে কুখ্যাত। বহু অলৌকিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন এখানকার কর্মচারীরা। অচেনা মানুষের ছায়া, রাতে অপ্রত্যাশিত পায়ের শব্দ, কথা বলার শব্দ, হঠাৎ ঠান্ডা আবহাওয়া ইত্যাদি এখানে নাকি প্রতিনিয়তই অনুভব করা যায়।