প্রায় সকলেই চায় সুন্দর ও আকর্ষণীয় ঠোঁট পেতে। অনেকেই চান ঠোঁট যেন গোলাপি হয়। তবে কিছু কারণে ঠোঁট কালো ও খুব শুষ্ক দেখাতে শুরু করে। যদি আপনার ঠোঁটও কালো হয় এবং আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে জেনে নিন সেসব কারণ এবং সেগুলি মেনে চললেই, সব সমস্যার সমাধান।
ঠোঁট আমাদের মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়াকে ঠোঁটের হাইপারপিগমেন্টেশনও বলা হয়। এই অবস্থায় ঠোঁট, স্বাভাবিক রঙের চেয়ে কালো হয়ে যায়। কিছু উপায়ে আছে যার সাহায্যে ঠোঁট গোলাপী করা যায় ফের।
ঠোঁট কালো কেন হয়?
ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। যার মধ্যে একটি হল শরীরে আয়রন বা ভিটামিন বি১২ -র অভাব। এটি ত্বক এবং ঠোঁটের রঞ্জকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি আপনার ঠোঁট দীর্ঘদিন ধরে কালো থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
ধূমপানের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। যে ব্যক্তি অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তার ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। কারণ তামাকে উপস্থিত নিকোটিন ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি করে এবং এর প্রাকৃতিক রং নষ্ট করে।
ক্যাফেইন অর্থাৎ চা এবং কফি অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। ক্যাফেইন আছে এমন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে,ঠোঁটের রং পরিবর্তন হতে পারে।
লিপস্টিক ব্যবহারেও ঠোঁট কালো হয়ে যায়। লিপস্টিকে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যার কারণে ঠোঁট কালো হতে শুরু করে। বিশেষ করে নিম্নমানের লিপস্টিক ব্যবহার করলে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শুধুমাত্র ভাল মানের লিপস্টিক ব্যবহার করা জরুরি।
দীর্ঘক্ষণ সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির সংস্পর্শে থাকার ফলে ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটের ত্বকের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। এটি ঠোঁটের ত্বকে মেলানিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে, যা ঠোঁটকে কালো করে তুলতে পারে।
ঠোঁট গোলাপী করার উপায় কী?
আপনি যদি ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া উচিত। ঠোঁটকে ময়েশ্চারাইজ করা, রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ঠোঁটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন পেস্ট ত্বক এবং ঠোঁটকে পুষ্টি জোগায় এবং তাদের রঙও উন্নত করে। খাঁটি গোলাপ জলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা, ঠোঁটকে হাইড্রেটেড রাখে এবং রং উন্নত করে। অন্যদিকে, গ্লিসারিন ঠোঁটকে নরম রাখে।
মধু এবং লেবুর পেস্ট আপনার ঠোঁটকে গোলাপী করতেও সাহায্য করতে পারে। কারণ মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যদিকে লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার নিয়মিত এই দুটি ব্যবহার করলে ঠোঁট গোলাপী হতে সাহায্য করে।