পেয়ারার হাজার গুণ। পেয়ারা নিয়মিত খাওয়া তো ভাল, আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু শুধু ফলই নয়, পেয়ারার পাতা, পেয়ারার ডাল, পেয়ারার বীজ সবই অত্য়ন্ত উপকারী পাতা, ডাল সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এগুলি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে শরীরের বহু রোগ এমনিতেই সেরে যাবে, বহু রোগ হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আসুন জেনে নিই, পেয়ারার উপর নির্ভর করলে আমরা কী কী লাভ পেতে পারি।
এতে আছে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজ। মাগ্যি গণ্ডার বাজারে এই ফলটি মোটামুটি সস্তা। ফলে কিনে খেলেও খুব একটা অসুবিধা হয় না। আর বাড়িতে পেয়ারা গাছ থাকলে তো সোনায় সোহাগা।
পেয়ারার পাশাপাশি এর পাতাও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যে অত্যন্ত ভাল ফল দেয়। পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ওষধি। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ। এছাড়া পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভিনয়েড, ট্যানিনও রয়েছে। যা বিভিন্ন রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেয়ারার ফলের পাশাপাশি এর বীজ, খোসা, পাতা কিছুই ফেলনা নয়।
রুচি ফেরায়
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের জিভের হারিয়ে যাওয়া স্বাদ ফিরিয়ে আনে। নিয়মিত পেয়ারা চিবিয়ে খেলে জিভের স্বাদ ঠিক থাকে।
ডায়বেটিসে উপকার দেয়
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে বলা হয়েছে, পেয়ারার পাতায় অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পেয়ারার পাতায় উপস্থিত ফেনোলিক যৌগ শরীরে উৎপন্ন হওয়া অতিরিক্ত গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত ভাল।
শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়
পেয়ারার পাতা ছেলেদের শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায়। পাশাপাশি স্ট্যামিনা বাড়াতেও সাহায্য করে। পেয়ারা পাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য দায়ী। সেই সঙ্গেশুক্রাণুর গুণগত মান বাড়াতেও পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
পেয়ারার পাতা ওজন কমায়। এতে নানা রকম বায়ো-অ্যাকটিভ যৌগ থাকে, যা আমাদের শরীরের কার্বোহাউড্রেট শোষণ করে। শরীরে চিনি, ক্যালোরির পরিমাণ কমায়। যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে
পেয়ারার পাতা নিয়মিত খেলে ডায়ারিয়া প্রতিরোধ হয়। পাশাপাশি পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করে পেয়ারার পাতা। পেট থাকে সাফ ও সুস্থ।
রক্তে কোলেস্টেরল কমায়
পেয়ারার পাতা হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতেও সাহায্য করে। যাঁদের হাই সুগার রয়েছে তাঁদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। তা কমিয়ে ফেলে পেয়ারার পাতার নিয়মিকত সেবন করেন। সঙ্গে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন এই পেয়ারা পাতা?
পেয়ারাপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে হবে। কীভাবে বানাবেন এই চা জেনে নিন। গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা পেয়ারা পাতা ভাল করে ধুয়ে নিন। এই পাতা জলে ফোটাতে হবে। মিনিট পাঁচেক ফোটানোর পর তা ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে অর্ধেক পাতিলেবু মিশিয়ে, স্বাদমতো মধু মিশিয়ে নিন। মাথায় রাখতে হবে জলটা ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে তা খাওয়ার জন্য নামিয়ে দিন।