আপনি কি কফি পছন্দ করেন না চা? আমরা বাঙালিরা সাধারণত চায়েরই ভক্ত। কাজের ফাঁকে ক্লান্তি দূর করা হোক, কিংবা ঘুম থেকে উঠে জড়তা কাটাতে চা-ই আমাদের পয়লা পছন্দের।
একটি নতুন সমীক্ষায় এই গরম পানীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে শুধুমাত্র ভারতে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চা প্রধান পানীয়। সবচেয়ে বড় কথা, কফির বিকল্প হিসেবে চা পান করা যায়। কিন্তু হিসেবে কফি কখনও চায়ের বিকল্প হতে পারে না।
ইংল্যান্ডের একদল গবেষক ব্ল্যাক টি পান নিয়ে গবেষণা করে চমকপ্রদ তথ্য আবিষ্কার করেছেন। চা পানের সম্ভাব্য উপকারিতাগুলি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন যে চা নিয়মিত খেলে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে যারা দুই বা তিন কাপ চা পান করেন তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৯ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ কম হয়ে যায়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের অংশ। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত এবং এটি অতীতের চা সম্পর্কিত স্টাডি রিপোর্টগুলিকে পিছনে সরিয়ে দিয়েছে।
গবেষকরা দেখেছেন যে যারা প্রতিদিন দুই বা ততোধিক কাপ চা পান করেন, তাঁদের চা পান না করা এমন লোকদের তুলনায় যে কোনও কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি ৯ থেকে ১৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। যাঁরা চা তুলনামূলক বেশি খান, তাঁদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ এবং স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে বলে এনআইএইচ একটি বিবৃতিতে বলেছে।
অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বের যে সমস্ত জায়গায় শুধু কালো চা বা ব্ল্যাক টি পান করা হয়, সেখানে চা পানের সঙ্গে মৃত্যুর ঝুঁকি এবং জনসংখ্যার সম্পর্কের স্থির তথ্য অবশ্য এখনও সামনে আসেনি।
৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৪,৯৮,০৪৩ জন পুরুষ এবং মহিলা এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে ৮৯ শতাংশ বলেছেন যে তারা ব্ল্যাক টি পান করেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনুসরণ করা হয়েছিল।
জানানো হয়েছে অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ১১ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়। এরপর তাঁদের মৃত্যুর তথ্য যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের লিঙ্কড ডাটাবেসে যুক্ত করা হয়েছে।
জাতি-বর্ণ-জিনগত বৈচিত্র নির্বিশেষে যাঁরা প্রতিদিন ২ বা তার বেশি কাপ চা পান করেন, তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে। এই ফলাফলগুলি ইঙ্গিত করে যে চা, এমনকী বেশি খেলেও তা একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হতে পারে। গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।