বিশেষ করে সামনেই পুজোর মরশুম। আর এ সময় বিচার-বিবেচনা করে খেলে কী হয়! এ সময় হিসেব কষে খাওয়া বাঙালির কাছে প্রায় অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু অনেকেই মশলাদার খাবার সহ্য করতে পারেন না। খেলেই গ্যাস-অম্বল-চোঁয়া ঢেকুর উঠতে থাকে। তাহলে তাঁরা কী করবেন?
অনেকেরই জমিয়ে খাওয়া খাওয়ার পর অ্যাসিডিটির প্রবলেম শুরু হয়ে যায়। সে কারণে শরীর ভারী হয়ে যায় বুক জ্বালা করতে থাকে এবং পেটে ব্যথা শুরু হয়। অ্য়াসিডিটি একটি নরমাল প্রবলেম। যাতে, সাধারণভাবে লোকেদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়।
যদি আপনি ডিপ ফ্রাই এবং মুচমুচে খাবার খেতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার এই প্রবলেম হতে পারে। অ্যাসিডিটি এমন একটি সমস্যা, যার কারণে আপনি ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে পারেন। এই পাঁচটা জিনিস যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে অটুট ছাড়াই এসিডিটি প্রবলেম থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
তুলসি পাতা
আমরা তুলসিকে সর্দি-কাশির ওষুধ বলে জানি। কিন্তু তুলসি এমন একটা ওষুধ, যা সর্দি কাশি ছাড়াও অ্যাসিডিটি থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। নিয়মিত তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি কাবু থাকে।
হলুদ
দইয়ের মধ্যে হলুদ মিলিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটিতে খুব কার্যকর। যদি আপনি পেট ব্যথা-কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যায় ভোগেন, তাহলে দইয়ের মধ্যে হলুদ মিলিয়ে খেলে সহজেই আরাম পাবেন।
জিরা
জিরা পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। জিরা গুঁড়ো করে বিট লবণ মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত অ্যাসিডিটি সমস্যা কমে যায়।
আমলকি
যদি আপনি প্রায়ই অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন, তাহলে আমলকি আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ হতে পারে। আপনি চাইলে ঘরেই আমলকি candy বানিয়ে নিতে পারেন। তাছাড়া বাজারে খুব সহজেই আমলকি ক্যান্ডি পাওয়া যায়।
জোয়ান
অ্যাসিডিটির সবচেয়ে ভালো ওষুধ হল জোয়ান। দু-চামচ জোয়ান এক কাপ জলে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। যখন জল ফুটে অর্ধেক হয়ে যাবে, তখন গ্যাস বন্ধ করে নিন। ঠান্ডা করে জল ছেঁকে জলটি খেয়ে ফেলুন। যদি আপনার এই জোয়ানের স্বাদ ভাল না লাগে, তাহলে আপনি এতে সামান্য লবণ ফেলে নিতে পারেন।