দেখতে দেখতে এসে পড়ল এবছরের দুর্গা পুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব এই দুর্গোৎসব। সারাবছর এই চারটে দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন সকল বাঙালি।
আর এই পুজো মানেই থাকে অনেক প্ল্যান। পুজো মানেই ঠাকুর দেখা, সঙ্গীর সঙ্গে ঘোরা, খাওয়া-দাওয়া আরও কত কি। পুজোতে শুধু যে খাওয়া-দাওয়া তাই নয় পুজো মানেই ডায়েট ভুলে খাওয়া। তাই যতই ডায়েটিং এ থাকুন, পুজোর সময় একটু আধটু লাগামছাড়া না হলে জমেই না।
পুজো মানেই সারাবছরের একঘেয়েমির নিয়মের বাইরে পা রাখা। বন্ধু বান্ধবের সাথে চুটিয়ে আড্ডা মারা। আর পেটপুজো ছাড়া তো পুজো সম্ভব নয়। এগ রোল, ফুচকা এসব ছাড়া চলে না। তার সঙ্গে তো আছেই--বিরিয়ানি, চাইনিজ। পেটপুজোতেই যেন সব আনন্দ বাঙালির।
আর এই বেলাগাম ভাবে খাওয়ার ফল বুক জ্বালা, অম্বল আর বদহজম। তাই সাবধান তো হতেই হবে। যাতে এই অতি মাত্রায় তৈলাক্ত খাবার যেন কোনভাবেই পুজোর আনন্দ মাটি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পুজোয় যদি খুব বেশি তৈলাক্ত বা মশলাদার খাবার খাওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
প্রচুর জল খেতে হবে
জল শরীর হাইড্রেটেড রাখে। টক্সিন বের করে দিতে খুব সাহায্য করে। তাই মশলাদার খাবার খেলে বেশি করে জল খান।
আদাও ভীষণ উপকারী
শুধু সমস্যা হলে নয়, আদা এমনিও খাওয়া যায়। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে কার্যকরী। আদা কুচি করে নিয়ে সামান্য লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি অনেক উপশম হয়। এছাড়াও আদাকুচি জলে সেদ্ধ করেও সেটা খেতে পারেন।
পুদিনাপাতা খান
অ্যাসিডিটির সমস্যায় পুদিনাপাতাও চিবিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। আর যদি সেটা না পারেন, এক কাপ জলে কয়েকটি পুদিনাপাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেটা খেতে পারেন। সতেজ অনুভব করবেন অনেকটা। বমিভাব, পেট জ্বালাপোড়া দূর করে সতেজ ভাব আনতে পুদিনাপাতা ভীষণ সাহায্য করে।
মেথিগুঁড়ো
মেথিগুঁড়োও উপকার করে। এক গ্লাস জলে এক চা–চামচ মেথিগুঁড়ো মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির জ্বালাপোড়া কমে।
সমস্যা যদি হয়, সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকভাবে। এক গ্লাস জলে আধা চা–চামচ দারুচিনির পাউডার মিশিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এটি খেতে পারলে অ্যাসিডিটির সমস্যায় অনেক আরাম পাওয়া যায়। পুজোয় আনন্দ করুন দেদার, তবে অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে।