কোঁকড়ানো চুল দেখতে সুন্দর হলেও এটি ঝামেলাপূর্ণ। রোজ যাদের বেরানো থাকে তাঁরা এটা নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন।
জেনে নিন কোঁকড়ানো চুল যত্ন নেওয়ার কিছু ঘরোয়া টিপস্।
ভিনিগার কোঁকড়ানো চুলের জন্যে খুব ভালো। সমপরিমাণ জল ও ভিনিগার মিশিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। চুলে শ্যাম্পু করার পর, মিশ্রণটি পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর সম্পূর্ণ চুল ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিন। এটি মাসে এক থেকে দু বার করতে পারেন।
ডিম চুলের জন্য খুবই উপকারী। একটা পাত্রে একটা ডিম ও অলিভ অয়েল ভালো করে মেশান। পুরো চুলে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পুরো চুল ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি সপ্তাহে একবার করতে পারেন।
কোঁকড়ানো চুলের জন্যে অ্যাভোকাডো খুবই ভালো। একটি পাত্রে একটা গোটা অ্যাভোকাডোর মন্ড ও দইয়ের মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর আপনার চুলে এই মিশ্রণটি পুরু করে লাগান এবং ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করুন। কিছুটা শুকিয়ে এলে প্রথমে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে, তারপরে শ্যাম্পু করে নিন। এই পদ্ধতিটি আপনি সপ্তাহে একবার করতে পারেন।
কোঁকড়ানো চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। অ্যালোভেরার থকথকে অংশটা নিয়ে চুলের গোড়ায় হালকা করে লাগান।১৫ মিনিট পরে উষ্ণ গরম জলে হাল্কা কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি সপ্তাহে এক থেকে দু বার করতে পারেন।
"চুল, জলে তেলে কাঁচা"!- এ প্রবাদটি যুগ যুগ ধরে আমরা মা-ঠাকুমাদের কাছে শুনে এসেছি। সত্যিই চুলের জন্য সবচেয়ে উপকারী তেল। হালকা গরম তেল সপ্তাহে এক থেকে দু'দিন চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। এবার একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন এবং ঘন্টা দুয়েক পরে শ্যাম্পু করে নিন।
জবাফুল শুধুমাত্র পুজোয় লাগে তা নয়। কোঁকড়ানো চুলের জন্যেও জবাফুল খুবই ভালো। চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে জবা ফুল এবং পাতা নিয়ে সেটি পিষে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট রেখে দিন। কিছুটা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জলে হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এই প্রক্রিয়াটি আপনি সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন। এতে শুধুমাত্র আপনার কোঁকড়ানো চুলের সমস্যা দূর হবে তা নয়। চুলের দৈর্ঘ্য বাড়তেও জমা ফুল কার্যকরী।