রামায়ণের উল্লেখিত জায়গাগুলিতে ভ্রমণের সুযোগ করে দিল আইআরসিটিসি। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে গেল যাত্রা। এই প্রথম আইআরসিটিসি চালিত কোনও ট্রেন বিদেশের মাটিতেও চলবে। রামায়ণ সার্কিট যাত্রায় দিল্লির সফদরজং থেকে ছাড়ল দেশের প্রথম ভারত গৌরব ট্রেন। শ্রী রামের সঙ্গে জড়িত জায়গাগুলিতে যাবে এটি। ঘুরে আসবে নেপালের জনকপুরেও।
ভারত গৌরব ট্রেন ১৮ দিনের ট্যুর প্যাকেজ। পর্যটকরা ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে জড়িত দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ধর্মীয় স্থানগুলি দর্শন করতে পারবেন। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই যাত্রার সূচনা করা হয়েছে। পুরো যাত্রার সময় পর্যটকদের জন্য অন বোর্ড এবং অফ বোর্ড পরিষেবাও রয়েছে।
IRCTC-এর ভারত গৌরব ট্রেনে মোট ১৪টি কোচ রয়েছে। ট্রেনের কোচগুলি লখনউয়ের আলমবাগ ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনে রয়েছে সমস্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
ভারত গৌরব ট্রেনের কোচের বাইরের দেওয়ালে করা হয়েছে বিশেষ পেইন্টিং। দেশের সনাতম সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের প্রাচীন নিদর্শন, খাবার, পোশাক, উৎসব, যোগব্যায়াম এবং বিভিন্ন রাজ্যের লোকশিল্পের এক ঝলক দেখা যাবে ট্রেনে।
ট্রেনের বাইরে সারনাথ স্তূপ, সাঁচি স্তূপ, মহাবোধি মন্দির, মধ্যযুগীয় জয়পুরের হাওয়া মহল, কুম্ভলগড়ের বিশাল দুর্গ, হাম্পির বিশাল রথ এবং ব্রিটিশ ইন্ডিয়া গেটের ছবি রয়েছে।
শুধু তাই নয় তাজমহল, হুমায়ুনের সমাধি, গ্বয়ালিয়র দুর্গ এবং ওরছা মন্দিরের মতো মুঘল আমলের স্মৃতিসৌধের ছবি-সহ লোটাস টেম্পল, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, দিল্লি ওয়ার মেমোরিয়ালের ছবিও অঙ্কিত হয়েছে ট্রেনের দেওয়ালে।
এছাড়া ট্রেনের দু'টি বগিতে যোগ ও আয়ুর্বেদ সংক্রান্ত ছবিও বসানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পোশাকও এই ট্রেনে ঠাঁই পেয়েছে। প্যান্ট্রি কারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারও দেখানো হয়েছে।
রামায়ণের বর্ণিত স্থানগুলির দর্শন করতে পারবেন ভারত গৌরব ট্রেন যাত্রায়। এই ট্রেনটি পর্যটকদের নিয়ে যাবে অযোধ্যা, বক্সার, সীতামাঢ়ি, কাশী, প্রয়াগ, শ্রীঙ্গেশ্বর, চিত্রকূট নাসিক, হাম্পি, রামেশ্বরম, কাঞ্চিপুরম এবং ভদ্রাচলমে। যে স্থানগুলি ভগবান রামের সঙ্গে জড়িত। শুধু তাই নয় সীতার জন্মস্থান নেপালের জনকপুরেও এই ট্রেন। ট্রেনের ভাড়া মাথাপিছু ৬২,৭৩০/-।
প্রতি কোচে থাকবেন ২ জন করে ওয়েটার, একজন হাউসকিপিং স্টাফ এবং একজন রক্ষী। সব কর্মীরাই মেরুন জ্যাকেট, কুর্তা-পাজামায় থাকবেন।
কোচের ভিতরেও সাজানো হয়েছে। আধুনিক প্যান্ট্রি কার, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ঘোষণার ব্যবস্থা ইত্যাদি। আরামদায়ক ভ্রমণের সবরকম সুবিধা রয়েছে ট্রেনে।