Advertisement

লাইফস্টাইল

মর্মান্তিক! এই যৌনকর্মীদের জীবনের কথা শুনলে আপনার গায়ে কাঁটা দেবে

Aajtak Bangla
  • 15 Mar 2021,
  • Updated 4:05 PM IST
  • 1/13

যৌনকর্মীদের কাজকে খুব পুরনো একটি পেশা বলে মনে করা হয়। যদিও অনেকেই মনে করেন এই কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে নিগ্রহ হয়ে আসছে। এই নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ। কিন্তু খুব কম লোকই এই সমস্যার শিকড়ে ঢুকে আসল সত্যি জানতে পারেন। কিংবা বলা চলে, যৌনকর্মীরা ব্যক্তিগত জীবনে কতটা অত্যাচারের স্বীকার হয় তা খুব কম মানুষ জানেন।

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 2/13

কোয়ালাম্পুরের জালান আলোরে কিংবা আরও কয়েকটি যৌনকর্মীদের আন্দোলনের থেকে কঠিন এই সত্যি অনেকটাই জানা যায়। রাস্তার ধারে তাঁরা খদ্দেরের জন্যে অপেক্ষা করেন। সেই অপেক্ষা কখনও সারা দিনব্যাপিও হয়। যাদের রাস্তায় দেখা যায় না, বোঝা যায় তাঁরা সেই মুহূর্তে হয় পতিতালয়ে কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। নয় বাড়ি গিয়ে  বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন কোনও খদ্দেরকে।
 

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 3/13

মালয়শিয়াতে এখনও পর্যন্ত ঠিক কতজন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তা খুঁজে বের করা কঠিন। তবে ২০১৮ সালের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৪৫,০০০ জন যৌনকর্মী রয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ২১,০০০ জন মহিলা এবং ২৪,০০০ জন রূপান্তরকামী যৌনকর্মী।   

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 4/13

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পাওয়া ২০০৫ সালের তথ্য অনুযায়ী সেই সংখাটি পরে প্রায় ৪৯ শতাংশ বেড়ে গেছে। কারণ সেই সময়ে মহিলা, পুরুষ এবং রূপান্তরকামী যৌনকর্মী মিলিয়ে প্রায় ২২,০০০ জন ছিলেন। যদিও এই রিপোর্ট থেকে জানা যায়নি যে ঠিক কতজনকে জোড় করে এই ব্যবসায় আনা হয়েছে। এমনকি অর্থ-সামাজিক বিষয়েও এখানে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 5/13

যৌন ব্যবসাকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার পিছনে কারণ ও সমস্যা একেবারে গোঁড়ায় গিয়ে জানা দরকার। এই ঘটনা বোঝার জন্যে সেই দেশের দু'জন যৌনকর্মীর সঙ্গে কথোপকথন হয়, যাঁদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাঁদের এই পেশায় যুক্ত করা হয়। অন্যান্য কিছু ছাড়া, একটা বিষয় তাঁদের সকলের মধ্যেই মিল আছে, তা হল অর্থনৈতিক সংকট। 
 

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 6/13

সিওমি (নাম পরিবর্তিত) মাত্র ২০ বছর বয়সী ছিলেন যখন তাঁকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হয়, অর্থের বিনিময়। ৫ বছরের একটি সন্তানের মা সিওমি তার আগে একটি রিটেল স্টোরে কাজ করতেন সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে। সিওমি জানান যে, সে অত্যন্ত অভাবী একটি পরিবারে বড় হয়েছেন। বর্তমানে সে তাঁর পরিবারকে সাহায্য করছে কিন্তু তাঁরা জানেন না তাঁর এই পেশার বিষয়ে।

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 7/13

সিওমি বলেন, "আমি মাসে ১৭,০০০ টাকা দি আমার পরিবারে কারণ তাঁদের আর কোনও আয়ের উপায় নেই। চাকরির মতো আমি সপ্তাহে ৫ দিন ৮ ঘণ্টা করে পতিতাপল্লিতে সময় দি।" সাধারণ দিনে সে প্রায় ১৫০০-১৮০০ টাকা রোজকার করে প্রতিদিন। যদিও করোনা অতিমারীর জন্যে খদ্দের খুব কম আসেন এবং তাঁদের আয়ও অনেক কমে গেছে।

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 8/13

এই পেশায় সে প্রায় ১০ বছর ধরে আছে। সে জানায় প্রায়শই খদ্দেরদের নানা অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। এমনকি অনেকে মারধরও করেন। অনেক সময়ে তাঁরা যৌনকর্মীদের থেকে বেশি সার্ভিস চান। তা দিতে অস্বীকার করলেই অত্যাচারীত হতে হয় তাঁদের। সিওমি জানান যে, সে এই পেশা ছেড়ে তাঁর পুরনো রিটেলের চাকরি করতে চান। কিন্তু অর্থের প্রয়োজনে সে কিছুতেই এই অন্ধকারময় পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারছেন না।

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 9/13

সিওমি বলেন যে, এখন যতটা অর্থ সে উপার্জন করছে তাঁর অর্ধেকও রিটেল চাকরিতে পাবে  না সে। তাঁর কথায়, "একজন মা হয়ে এই সমস্ত কাজ করা আমার জন্যে খুব কঠিন। অনেক সময়ে ছেলেকে কাজের জায়গাতেই নিয়ে যেতে হয় আমায়। আর যখন আমি খদ্দেরদের সঙ্গে ব্যস্ত থাকি, তখন অন্যরা ছেলেকে সামলায়। ও এই জায়গার ব্যাপারে কিছু জানে না। আমার খুব খারাপ লাগে তাই। পড়াশোনা শিখিয়ে ওকে ডাক্তার বানাতে চাই আমি।"

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 10/13

আরও একজন যৌনকর্মী এলিনের (নাম পরিবর্তিত) জীবনও খুব বেদনাদায়ক। নিজের সৎ-মায়ের দুর্ব্যবহারে এলিন যৌনকর্মীদের মধ্যেই বড় হয়েছে। এই ব্যবসায় ঢোকার আগে তাঁর পরিবারেরই এক সদস্য তাঁর ধর্ষণ ও অত্যাচার করেন। ৩৫ বছর বয়সী, এইচএইভি পজিটিভ এলিন জানান যে তাঁর মাও একজন যৌনকর্মী ছিলেন। মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে এলিন বুঝতে পারে সে কোন পরিবেশে আছে।

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 11/13

এলিন আরও জানান, ছোটবেলায় তাঁর বাবা ও দাদা তাঁর ধর্ষণ করেন। সে বলে, "আমার সৎ-দাদা, তাঁর সঙ্গে বসে আমায় পর্ন ফিল্ম দেখতে বাধ্য করতো। আমি ১২ বছর বয়সে আমার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। সেই সময়ে আমায় কিছুদিন ভাড়া বাড়িতে থাকতে হয়। ছাড়া পেয়ে আমার বাবা আবার আমায় বাড়িতে নিয়ে যায়।
 

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 12/13

এলিন বলেন, "আমার পক্ষে ওখানে থাকা আর সম্ভব ছিল না। তাই আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসি। আমার আইডেন্টিটি কার্ডও হারিয়ে যায়। এক ব্যক্তি আমায় কথা দেন যে, যৌনপল্লিতে কাজ করলে সে আমায় আই-কার্ডের বন্দোবস্ত করে দেবে। আমি দু'মাস বাধ্য হয়ে সেখানে কাজ করি। কিন্তু এই সময়ে আমি এইচআইভি পজিটিভে আক্রান্ত হই। পরে জানতে পারি সেই ব্যক্তি আমায় এখানে কাজ করানোর জন্য মিথ্যা কথা বলেছিল।"

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

  • 13/13

এই মুহূর্তে এলিন একটি হোমে থাকেন, মালয়েশিয়া স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার অধীনে। সে এই পেশা ছেড়ে দিয়েছে এবং চিকিৎসা শুরু করেছে। এলিন তাঁর সদ্য প্রয়াত বাবাকেও এখন ক্ষমা করে দিয়েছে। জীবনের সবকিছুই সে এখন মেনে নিয়েছে এই ভেবে যে, হয়তো ঈশ্বর তাঁর পরীক্ষা নিচ্ছেন। তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছে তাঁর নিজের মা, জামাইলা মোখতারের সঙ্গে দেখা করার। 

(ছবি: গেটি / প্রতীকী) 

Advertisement
Advertisement