ফলের রাজা আম তার স্বাদ ও মিষ্টিতার জন্য বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই সুস্বাদু ফলটির এমন কিছু নীরব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম ঠিকমতো না খেলে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। চলুন গরমে বাজারের সৌন্দর্য বাড়ায়ি তোলা আমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাক ।
অ্যালার্জি- আম খেলে শরীরে অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়তে পারে। ল্যাটেক্স অ্যালার্জি আক্রান্তদের সাধারণ ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে যখন কেউ সিন্থেটিক মেটিরিয়ালসের প্রতি সংবেদনশীল থাকেন। প্রকৃতপক্ষে, আমে পাওয়া প্রোটিন ল্যাটেক্সের মতো, তাই যারা ইতিমধ্যেই অ্যালার্জিতে ভুগছেন এমন লোকদের জন্য এটি সমস্য়া তৈরি করতে পারে।
হাই ব্লাড সুগার - সুস্বাদু এবং মিষ্টি আমে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ খুব বেশি, যার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস বা অন্যান্য লাইফস্টাইল ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিনি শরীরে নিয়মিত চিনির মতো আচরণ করে। অতএব, এই জাতীয় লোকদের আম খাওয়ার পরিমাণের দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
লো ফাইবার- আমের কিছু জাত রয়েছে যেগুলিতে ফাইবারের পরিমাণ এর আঁটি এবং খোসার চেয়ে কম পাওয়া যায়, যা সাধারণত লোকেরা খায় না। এই ধরনের আম আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে না। তাই ডাক্তাররা সবসময় ফাইবার সমৃদ্ধ আম খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো বলে মনে করা হয়।
ওজন বৃদ্ধি- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি পরিমাণে আম খেলে দ্রুত ওজন বাড়তে পারে। কারণ অন্যান্য ফলের তুলনায় আমে ক্যালরি কম, প্রাকৃতিক চিনি বেশি এবং ক্যালরি বেশি। এই কারণেই এটি অত্যধিক খাওয়া আপনার ওজন বাড়াতে পারে।
পেট সম্পর্কিত সমস্যা - স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আমের অত্যধিক সেবন জিআই ডিস্ট্রেস (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিস্ট্রেস) বাড়িয়ে তুলতে পারে। আসলে এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট আইবিএস (IBS) অর্থাৎ ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমকে ট্রিগার করতে পারে এবং পাচনতন্ত্র নষ্ট করতে পারে।
অ্যানাফিল্যাকটিক শক - অনেক বেশি আম খাওয়া কিছু লোকের মধ্যে অ্যানাফিল্যাকটিক শক হতে পারে। এটি এক ধরনের এলার্জি প্রতিক্রিয়া যাতে বমি বমি ভাব, বমি এবং শক অনুভূত হয়। এই প্রতিক্রিয়ার যদি সময়মতো চিকিত্সা না করা হয়, তাহলে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন।