পিরিয়ড সব মহিলাদের জন্যই খুব অস্বস্তিকর এবং কষ্টকর একটা ঘটনা। পেটে ব্যথা, গা বমি ভাব, মুড স্যুং হওয়ার পাশাপাশি আরও নানাবিধ সমস্যায় ভুগতে হয় মাসের এই কয়েকদিন।
তবে যত দিন যাচ্ছে এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি মিলছে। স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পনের পাশাপাশি আরও সুবিধাজনক মেনস্ট্রুয়াল কাপ বর্তমানে বাজারে এসেছে। যা ব্যবহারে রয়েছে বিভিন্ন সুবিধা।
স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পন যতই পরিবেশবান্ধব হোক, তা সম্পূর্ণরূপে বিশ্লেষিত হয়ে পরিবেশে ফিরে যেতে সময় লাগতে পারে কয়েকশো বছর। কিন্তু এই সমস্যা একেবারেই নেই মেনস্ট্রুয়াল কাপের ক্ষেত্রে। যদিও এখনও এটি ঘিরে বেশ কিছু ভুল ধারণা রয়েছে মানুষের মনে। আসুন বিস্তারিত জানা যাক।
কী দিয়ে তৈরি হয় মেনস্ট্রুয়াল কাপ?
মেনস্ট্রুয়াল কাপ মূলত তৈরি হয় সিলিকন দিয়ে। এছাড়াও প্রাকৃতিক ল্যাটেক্স কিংবা রাবার দিয়েও তৈরি হয়। ফলস্বরূপ এটি একেবারেই বায়োডিগ্রেডেবল।
ব্যবহারের নিয়ম?
পিরিয়ডের সময় ব্যবহারের আগে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে, উষ্ণ গরম জলে স্টেরিলাইজ করে নিতে হয়। এটি সাকশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোনি অর্থাৎ ভ্যাজাইনাতে আটকে নিতে হয়। এর সরু মুখ সহজেই টেনে বের করা সম্ভব প্রয়োজনে।
কতক্ষণ পরে বদলাতে হয়?
সাধারণ ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি মেনস্ট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা যায়। তবে যে সমস্ত মহিলাদের ব্লিডিং অনেক বেশি হয়, তাঁরা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে পারেন।
একটি মেনস্ট্রুয়াল কাপ কতবার ব্যবহার করা যায়?
মেনস্ট্রুয়াল কাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা, এটা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এবং পরিষ্কার রাখলে, এটি বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
যা মাথায় রাখা জরুরি
যেহেতু মেনস্ট্রুয়াল কাপ বারবার ব্যবহার করা হয়, তাই এটা পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর, এটি সযত্নে পরিচ্ছন্ন জায়গায় রাখুন। না হলে ভ্যাজাইনাতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মেনস্ট্রুয়াল কাপের কত দাম হয়?
একটি মেনস্ট্রুয়াল কাপের দাম প্রায় ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩,০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে ৫০০ টাকার মধ্যেই যথেষ্ট ভাল মেনস্ট্রুয়াল কাপ পাওয়া যায়। যেহেতু এটা বহুদিন ব্যবহার করা যায়, তাই প্রতি মাসের স্যানিটারি ন্যাপকিন, ট্যাম্পন কেনার থেকে এটায় অনেক কম খরচ হয়।