আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন যে কোনও ব্যক্তির সঠিক ও পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাওয়া জরুরি। পুষ্টিকর ডায়েটের মধ্যে যে খাবারের নামটা অবশ্যই আসে, তা হল ওটস। কিন্তু জানেন কেন?
আসলে, ওটস একটি হজমযোগ্য খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে, এটি ওজন কমানোর নিশ্চিত মন্ত্র। জানুন আর কী কী গুণ আছে ওটসে।
ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এটি খাওয়ার পরে অনেকক্ষণ পেট ভরে যায়, যার কারণে বারবার খেতে হয় না।
শরীরে শক্তি যোগাতে ওটমিলের চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। এটির খাওয়ার ফলে মেটাবলিক সিস্টেমের উন্নতি ঘটে।
এর পাশাপাশি এর ছোট দানায় রয়েছে প্রচুর শক্তি। এই কারণে, এটি একটি আদর্শ ব্রেকফাস্ট হিসাবে বিবেচিত হয়।
ওটমিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এটি শরীরের মধ্যে উপস্থিত টক্সিনগুলিকে বের করে দিতেও সহায়ক।
অন্য যে কোনও ব্রেকফাস্টের তুলনায় ওটসে খুব কম ক্যালরি থাকে, যার কারণে শরীর শক্তি পায় কিন্তু ওজন বাড়ে না। এটি নিয়মিত খেয়ে, আপনি ওজন কমাতে পারেন।
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত ওটস খেলে, এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাতে পারেন।
চুলকানি, জ্বালা সহ আর একাধিক ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ওটস। এমনকী এটি নিয়মিত খেলে, আপনার কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম হতে পারে।
ওটস দুধের সঙ্গে খাওয়া ছাড়াও, স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও ওটসের রুটি, কুকি, স্যালাড, খিচুড়ি সহ আর একাধিক সুস্বাদু রেসিপি রয়েছে। যা যেমন আপনার ব্রেকফাস্টের একঘেয়েমি দূর করবে এবং সেই সঙ্গে সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে।