কিশমিশ বিভিন্ন উপায়ে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই এই ড্রাই ফ্রুটটিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। কিশমিশে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট। অন্যদিকে, কিশমিশ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করতেও কার্যকর। আর শুধু কিশমিশই নয়, এর জলও ভীষণ উপকারী। এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই আলোচনা করা হবে।
কিশমিশের জলের উপকারিতা জানার আগে এটি তৈরির পদ্ধতি জেনে নেওয়া যাক। একটি প্যানে প্রায় ২ কাপ জল নিন। এরপর সেটি গরম করুন। তারপর তাতে ১৫০ গ্রাম কিশমিশ দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই জল খান। আর যদি দিনের বেলায় কিশমিশের জল তৈরি করতে চান তাহলে অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা কিশমিশগুলি ভিজিয়ে রাখুন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কিশমিশের জলের উপকারিতা।
অ্যাসিডিটি থেকে মিলবে মুক্তি
যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাঁরা কিশমিশের জল পান করতে পারেন। এই জলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ পেটের সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
ওজন কমাতে সাহায্য করবে
কিশমিশের জল প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমায়। এই জল খেলে শরীরে শক্তি পৌঁছায়। সকালে এই জল খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। ফলে ক্ষুধা অনুভব হয় না, ফলে ওজন কমে।
ঘুমের সমস্যা
যদি অনিদ্রাজনিত রোগে ভোগেন, বা রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে কিশমিশের জল আপনার জীবনে হয়ে উঠতে পারে এক মহৌষধ। কারণ এই জলে রয়েছে মেলাটোনিন, যা ঘুমোতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - শ্রদ্ধাকে খুন করে বিয়ার-সিগারেট খায় আফতাব, তারপর নেটফ্লিক্স
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতকাল এসে গেছে। এই সময় ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষভাবে বাড়ানো দরকার। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কিশমিশের জল খাওয়া যেতে পারে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর কিশমিশের জল শরীরকে অনেক রোগের হাত থেকে দূরে রাখে।
শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়
ভাল ডিটক্স ড্রিংক খুঁজছেন? কিশমিশের জলকে বেছে নিতে পারেন। এই জল পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করে এবং শরীর থেকে নোংরা টক্সিন বের করে দেয়। এই ডিটক্স পানীয় পেটের স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্যও ভাল।