সুন্দরবন বাঙালির অতি প্রিয় জায়গা। তবে হাতের কাছেই রয়েছ আরও এক সুন্দরবন। তবে এটি 'মিনি'। প্রকৃতির মাঝে মনভোলানো 'মিনি সুন্দরবন' বেড়াতে যেতে ইচ্ছুক? তাহলে চটপট প্ল্যান করে ফেলুন নিউ ইয়ার্স ইভ কিংবা নতুন বছরের শুরুতেই।
নতুন বছরে একঘেয়ে জীবন থেকে দূরে যেতে চাইছেন অনেকেই। যদিও কাজের জন্য খুব একটা বেশি সময় হাতে পাওয়া যাচ্ছে না। দেড় থেকে দু'দিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন 'মিনি সুন্দরবন'-এ। যা অবস্থিত পুরুলিয়া জেলায়।
পর্যটকদের কাছে এখন পুরুলিয়া জেলার অন্যতম সেরা আকর্ষণ রঞ্জনডি ড্যাম। পুরুলিয়ার কাশিপুর থানা এলাকায় অবস্থিত এই ড্যামটি।
মনভোলানো এই জায়গায় রয়েছে নৌকাবিহারের হাতছানি। চারিদিক থেকে আলিঙ্গন করছে সবুজ, নিরিবিলি এই পরিবেশ যেন মনের ক্ষত-দাগে প্রলেপ বোলায়।
শীত পড়তেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকরা। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের সুবিধার্থে কটেজ নির্মাণও হয়েছে সেখানে। পিকনিকের মরশুমে পুরুলিয়ায় এই জায়গা সুপারহিট।
শীতের পুরুলিয়া মোহময়ী। আর তাকে কেন্দ্র করে আরও পর্যটন বিস্তারের প্রচেষ্টা চলছে। কাশীপুরের 'মিনি সুন্দরবন' রঞ্জনডির নীল জলাধারে ডানা ঝাপটানো হরেক পাখিকে ক্যামেরাবন্দি করতে চায় রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসন। এর মাধ্যমে রঞ্জনডিকে ঘিরে 'বার্ড ট্যুরিজম' তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
কলকাতা থেকে বা অন্যান্য লাগোয়া জেলা থেকে এই জায়গায় পৌঁছতে প্রথমে যেতে হবে আদ্রা। তারপর আদ্রা থেকে রঞ্জনডি ড্যাম ১৩ কিলোমিটারের পথ। পুরুলিয়া জেলা সদর থেকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের রাস্তা।
২২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে পাখিদের ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। ভিড় জমাচ্ছেন আলোকচিত্রীরা। জলাধারে পাখিদের নানান ছবি তুলে একটি নির্দিষ্ট স্ক্যানারের মাধ্যমে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে। প্রায় ১ মাসের এই প্রতিযোগিতায় রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসন দেখে নিতে চায়, জলাধারে কত রকমের পাখি আসে।
রেড ক্রেস্টেড পচার্ড, নর্দান পিনটেল, ইউরেশিয়ান কূট, গাডওয়াল, কমন টেল, টাপটেড ডাগ, বার হেডেড গুজ-সহ নানা পাখি এই রঞ্জনডি ড্যামে ঘুরে বেড়ায়। এছাড়া জলকাক, সরাল, ভূতিহাঁস, বড় পানডুবি, রাঙামুড়িরা তো প্রায় সারা বছরই এই জলাশয়ে উড়ে বেড়াতে দেখা যায়।
নতুন বছরে নিজের ব্যস্ত জীবন থেকে দু’দণ্ড বিশ্রাম নিতে হলে ঘুরে আসতেই পারেন এই রঞ্জনডি ড্যাম থেকে।