ওজন কমানো মানে কম খেতে হবে, এ ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক পরিমাণ খাওয়াটাই হল আসল। প্রত্যেক ভারতীয় পরিবারে রুটি নিত্যদিনের একটি খাবার। আটার তৈরি গরম রুটি লাঞ্চ কিংবা ডিনারে কমবেশি সকলেই খেয়ে থাকেন। আবার বেসনের তৈরি চিলাও অনেক বাড়িতে রোজকার খাবার। ওজন কমাতে গেলে কোনটা খাওয়া উচিত? রুটি আর চিলার মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। দু'টি খাবারেরই নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে হেলথ গোল এবং লাইফস্টাইলের উপর ভিত্তি করে বেছে নিতে হবে, কোনটি খাবেন।
আটার রুটিতে থাকে ৭০ থেকে ১০০ ক্যালরি। যদিও তা নির্ভর করে রুটির আকৃতির উপর। এতে মূলত থাকে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার।
অন্যদিকে, বেসনের চিলাতে থাকে ১২০ ক্যালরি। এতে রয়েছে প্রোটিন, হেলদি ফ্যাট। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ক্যালরি বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পায়। তবে পুষ্টিগুণও এক্ষেত্রে জরুরি।
চিকপি থেকে পাওয়া বেসন দিয়ে তৈরি চিলা অনেকটাই প্রোটিন সমৃদ্ধ। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। মাংসপেশী তৈরি হতে সহায়ক। মেটাবলিজমও বাড়ায় চিলা।
এদিকে, আটার রুটি হেলদি এবং এতেও প্রোটিন রয়েছে। তবে তা বেসনের চিলার থেকে পরিমাণ অনেকটাই কম। আটার রুটিতে থাকে ডায়েটারি ফাইবার। যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। অতিরিক্ত খেয়ে হাঁসফাঁস করার হাত থেকে বাঁচায়।
বেসনের চিলাতেও রয়েছে ফাইবার। তবে এর পরিমাণ আটার রুটির থেকে কিছুটা হলেও কম। হজমশক্তি বাড়ানো এবং পেট পরিষ্কার রাখতে গেলে রুটি বেসনের চিলা থেকে এগিয়ে থাকবে।
প্রোটিনের দিক থেকে আবার আটার রুটিকে হারিয়ে দেবে বেসনের চিলা। অনেকেই বলেন, বেসনের চিলা খাওয়ার অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদে থাকে না। এতেই ওজন কমবে।
আটার রুটিও হাল্কা। ডাল এবং সবজির সঙ্গে খেলে তবেই রুটি পেট ভরাতে পারে। হাই প্রোটিন, পেট ভরা খাবার খেতে চাইলে বেসনের চিলা আটার রুটির থেকে ভাল অপশন। ফাইবার সমৃদ্ধ, কর্বোহাইড্রেট ব্যালান্স করা খাবার খেতে চাইলে বেসনের চিলা খান।
আবার উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ ব্যালান্স করা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হলে আটার রুটি বেছে নিন। সবচেয়ে ভাল, ব্রেকফাস্টে খান চিলা এবং ডিনারে খান রুটি। এতে দুই খাবারের পুষ্টিগুণগুলিই শরীরে ঢুকবে।
বেসনের চিলা এবং আটার রুটি দু'টিই স্বাস্থ্যকর। তবে হাই প্রোটিন থাকায় ওজন দ্রুত কমানোর ক্ষেত্রে বেসনের চিলা বেশি কাজ দেয়। তবে নিত্যদিনের খাবারের জন্য আটার রুটিই বেশি খেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ।