Advertisement

লাইফস্টাইল

Radhikaraje Gaekwad: বাসে চেপে অফিসে যেতেন বরোদার মহারানি!

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Jun 2021,
  • Updated 5:28 PM IST
  • 1/12

সারা দেশে এমন বহু উদাহরণ আছে যেখানে রাজ পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। তাঁদের বৈভব এবং জীবনশৈলী দেশে দেশের সাধারণ মানুষের তাক লেগে যায়। কিন্তু তাঁদের মাঝেই এমন একজন আছেন যিনি রাজপরিবারের সদস্য হয়েও নিতান্ত সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটান।

  • 2/12

বরোদার মহারানি রাধিকারাজে গায়কোয়াড় এসব থেকে কয়েক যোজন দূরে নিতান্ত সাধারণ মধ্যবিত্তের মতো জীবন যাপন করেন। সাংবাদ মাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে রাধিকা জানিয়েছেন, তিনি কোনও ভাবেই নিজেকে অসাধারণ মনে করেন না।

  • 3/12

এই শিক্ষা তিনি পেয়েছেন তাঁর বাবার কাছ থেকে। তাঁর বাবা বাঁকানের-এর মহারাজকুমার ডক্টর রণজিৎ সিং জি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি পারিবারিক ধনসম্পদ এবং মহারাজা খেতাব ছেড়ে পরিবারের প্রথম আই এ এস পদাধিকারী হয়েছিলেন।

  • 4/12

রাধিকা বলেন, '১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি হওয়ার সময় বাবা সেখানকার কমিশনার ছিলেন। আমায় বয়স তখন ৬ বছর। আমি দেখেছিলাম কোনও রকম ভয়ডরকে প্রশ্রয় না দিয়ে তিনি নিরন্তর মানুষের সাহায্য করে গিয়েছেন। বড় হওয়ার সময় বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি, কোনও কাজ না করে কোনও কিছু ঠিক করা সম্ভব নয়। আশা করার বদলে কাজ করে যেতে হবে।'

  • 5/12

ঘটনার কিছু দিন পর পরিবার নিয়ে দিল্লিতে চলে আসেন রাধির বাবা। রাধিকা জানিয়েছেন, তিনি বাসে চেপেই বরাবর স্কুলে গিয়েছেন। তাঁর মা বরাবর সন্তানদের আত্মনির্ভর তৈরি করার চেষ্টা করেছেন।

  • 6/12

নিতান্ত সাধারণ জীবনযাপনের পর গরমর ছুটিতে যখন তাঁরা বাঁকানের যেতেন তখন অতিথি সৎকারের ধুম লেগে যেত। বরাবরই স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন রাধিকা। সে কারণেই ইতিহাস নিয়ে গ্র্যআজুয়েশন করার পর চাকরি খোঁজা শুরু করেন।

  • 7/12

রাধিকা বলেন, '২০ বছর বয়সে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সাংবাদিকের চাকরি পাই। সে সঙ্গে মাস্টার ডিগ্রির পড়াশোনাও চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি পরিবারের প্রথম মহিলা যে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে চাকরি করেছে। আমার সব তুতো ভাইদের ২১ বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যেত।'

  • 8/12

তিন বছর চাকরি করার পর রাধিকার বিয়ের প্রস্তুতি নেন তাঁর বাবা-মা। রাধিকা বলেন, 'বরোদার রাজকুমার সমরজিৎ-এর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেও আমি কয়েক জনের সঙ্গে দেখআ করেছিলাম। তবে সমরজিতের বিচারধারা অন্যান্যদের তুলনায় আলাদা ছিল। দেখা হওয়ার পর যখন তাঁকে বলি আমি বিয়ে পর আরও পড়তে চাই, তিনি আমায় খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন।'

  • 9/12

বিয়ের পর বরোদার লক্ষ্মীবিলাস প্যালেসে মহারানি হয়ে আসার পর তিনি তাঁর আসল পরিচয় লাভ করেন। তিনি বলেন, 'প্যালেসের বহু দেয়ালে রাজা রবি বর্মার পেইন্টিং ছিল। সেটা দেখেই মাথায় আসে এর উপর ভিত্তি করে বুননের কাজ আবার নতুন করে শুরু করলে এখানকার শিল্পীরাও উপকৃত হতে পারেন। শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে আমি এই উদ্যোগ শুরু করি। মুম্বইয়ে আমাদের প্রথম প্রদর্শনীর সমস্ত জিনিস বিক্রি হয়ে গিয়েছিল।'

  • 10/12

লকডাউনের সময় তিনি এবং তাঁর বোন বরোদার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শিল্পীদের অবস্থার কথা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা শুরু করেন। তাতে বিপুল সাড়া মেলে। কিছু দিনের মধ্যএই ৭০০ শিল্পীদের পরিবারকে তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

  • 11/12

রাধিকা বলেন, 'অনেকের ধারণা রয়েছে মহারানি হওয়া মানেই ক্রাউন পরে বসে থাকা। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বাস্তবটা তার থেকে অনেক দূরে। আমি প্রাচীন রীতি ভেঙে নিজের সীমা নিজেই তৈরি করেছি। নিজের মেয়েদেরও আমি একই ভাবে শিখিয়েছি, নিজেদের জীবন নিজেদের শর্তে বাঁচতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কোনও আক্ষেপ না থাকে।'

  • 12/12

ছবি সৌজন্য রাধিকারাজে গায়কোয়াড়-এর অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল

Advertisement
Advertisement