কালবৈশাখী নামগন্ধ নেই কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে চলছে তাপপ্রবাহ। রাস্তায় বেরোলেই সকাল থেকে চড়া রোদ। ক্লান্তি তো গ্রাস করছেই। সেই সঙ্গে দাবদাহে পুড়ছে ত্বকও। সানস্ক্রিন লোশন সবসময় মেখে বাইরে বেরানো যায় । আবার বাড়ি থেকে বেরোলে অচিরেই মুখ থেকে লোশন ঘামে ধুয়ে যায়। ফলে সরাসরি রোদ লাগে ত্বকে। গ্রীষ্মে 'সানবার্ন' থেকে মুক্তি পেতে রাসায়নিক লোশন বা ক্রিমের দরকার নেই। কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায় সান ট্যান থেকে মুক্তি পান।
টমেটো- ত্বকের যত্ন নিতে টমেটোর চেয়ে ভাল উপাদান আর নেই। এতে থাকে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শরীরে কোলাজেনের বৃদ্ধি করে। সানবার্নের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। টমাটোয় থাকে লাইকোপিন। যা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন লোশন। ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। সুগম করে নতুন কোষের বৃদ্ধি।
কীভাবে ব্যবহার-
- টমাটোর রস মুখে লাগান। ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
- সপ্তাহে দুদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। শুধু ট্যানই দূর করবে না সেই সঙ্গে উজ্জ্বলও হবে।
বেসন- ত্বকের জন্য বেসন কতটা উপকারি তা তো সকলেরই জানান। বেসন ত্বকের ময়লা দূর করে উজ্জ্বল করে। প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের কাজ করে বেসন। ডেড স্কিন সেলকে সরিয়ে দেয়।
কীভাবে ব্যবহার-
তিন চামচ বেসনের সঙ্গে নেবেন এক চামচ অলিভ অয়েল ও লেবুর রস। এর সঙ্গে সামান্য হলুদ যোগ করুন। ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণ ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। সেই মুখে হালকা মালিশ করতে থাকুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু'দিন এটা করুন। তার পর দেখুন কামাল।
দই ও মধু- দই এবং মধু সব ঘরেই পাওয়া যায়। ব্রণ দূর করতে কার্যকর দই। দইয়ে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। আর মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা সূর্যের তাপে পোড়া ত্বকের উপশমে কাজে দেয়।
কীভাবে ব্যবহার-
১ চামচ মধু ও ২ চামচ দই নিন। ভাল করে মিশ্রণ করুন। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা- সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বকের পোড়াভাব কমাতে কার্যকর অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরাকে ঔষধি গাছও বলা হয়। অ্যান্ট-ব্যাকটোরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি থাকে এতে।
কীভাবে ব্যবহার-
রাতে ঘুমোনোর আগে অ্য়ালোভেরা জেল মুখে লাগান। অ্যালোভেরার পাতা কেটে এই জেল পাবেন। রাতে লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে মুখ পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন এটা করলে লাভ পাবেন।
শশা ও দুধ- শশা ত্বকে শীতল করে। কোষগুলিকে সজীব করে তোলে। ভিটামিন সি থাকায় সান ট্যানের মোকাবিলায় সক্ষম। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বককে শীতল রাখে। অন্যদিকে দুধ মুখকে তৈলাক্ত রাখে। উজ্বল করে তোলে।
কীভাবে ব্যবহার-
শশার রস ও দুধকে মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিট ত্বকে রাখুন মিশ্রণ। তার পর সাধারণ জলে ধুয়ে নিন।