ট্রেকিং করেন? নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যে ছুটি পড়তে চলেছে তাতে কোনও ট্রেকিং-র প্ল্যান করছেন নাকি? তাহলে এই প্রতিবেদনে আপনি পেতে পারেন তেমনই কিছু ট্রেকিং স্পটের খোঁজ, যেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন শুধুই বরফ ঢাকা পাহাড় ও হিমবাহ। (ছবি সূত্র-গেটি)
দায়রা বুগ্যাল - এই জায়গাটির বিষয়ে অনেকেই হয়ত এখনও জানেন না। এই জায়গাটি উত্তরাখণ্ডের রথালে গঙ্গোত্রীর কাছে অবস্থিত। সবচেয়ে বড় কথা এখানে ট্রেক করা খুব একটা কঠিনও নয়, তাই এই জায়গায় পরিবারে সঙ্গে ট্রেকিং-র প্ল্যান করতে পারেন।
দেওরিয়া তাল-চন্দ্রশিলা - উত্তরাখণ্ডের আরও একটি জনপ্রিয় ট্রেকিং স্পট হল দেওরিয়া তাল-চন্দ্রশিলা। যাঁরা ঘন জঙ্গল ও প্রকৃতির মাঝে ট্রেক করতে চান, তাঁদের কাছে এই জায়গা খুবই পছন্দের। যদি আপনার আগে ট্রেকিং-র অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে এই জায়গাটি দিয়ে শুরু করতে পারেন।
কুয়ারি পাস ট্রেক - ভারতের উচু পর্বতগুলির মধ্যে অন্যতম নন্দাদেবীকে সম্পূর্ণ দেখা সুযোগ সমস্ত ট্রেকিং-এ পাওয়া যায় না। তবে তবে কুয়ারি পাস ট্রেকে মেলে সেই সুযোগ। জায়গাটি উত্তরাখণ্ডের যোশিমঠে অবস্থিত। তাছাড়া এই ট্রেকিং-র মধ্যে দিয়ে আপনি দ্রোণাগিরি ও হাতি পর্বতও দেখতে পাবেন।
কেদারকণ্ঠ - যাঁরা ট্রেকিং ভালবাসেন তাঁদের কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা হল উত্তরকাশীর কেদারকণ্ঠ। শীতকালে এই ট্রেকিং-র রাস্তা পুরোপুরি বরফাবৃত থাকে। এখানে ট্রেকিং-র সবচেয়ে ভাল সময় হয় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর।
হর কি দুন - উত্তরাখণ্ডের কোটগাঁওয়ের এই ট্রেকিং স্পটটির বিষয়ে এখনও অনেকেই জানেন না। এখানে ট্রেকিং-এ গেলে আপনি বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণী দেখতে পেতে পারেন। তারমধ্যেও বিশেষ আকর্ষণ হল এক বিশেষ প্রজাতির লঙ্গুর। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই জায়গায় সবচেয়ে ভালভাবে ট্রেকিং করা যায়।
সন্দকফু ট্রেক - পশ্চিমবঙ্গের জোভারি অবস্থিত সন্দাকফু। এখান থেকে মাউন্ট এভারেস্ট, মাকালু, কাঞ্চনজঙ্ঘা ও লোটসে, এই ৪টি পর্বত দেখা যায়। এছাড়া এখানে ট্রেকিং করতে গিয়ে সিঙ্গালিলা ন্যাশানল পার্কটিও আপনি দেখে নিতে পারেন।
গোমুখ তপোবন - এই ট্রেকে আপনি দেখতে পাবেন গঙ্গার উৎসস্থল গোমুখ। পাশাপাশি তপোবন থেকে আপনি মেরু পর্বতের মনোরম দৃশ্যও দেখতে পারবেন। জায়গাটি অবস্থিত উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রীতে।
গিদালা বুগ্যাল - উত্তরাখণ্ডের ভঙ্গেলিতে অবস্থিত এই জায়গাটির বিষয়ে অনেক কম মানুষই জানেন। এই ট্রেকিং সার্কেলের উচুতে আপনি দেখতে পাবেন সবচেয়ে বড় ঘাসের জঙ্গল। এছাড়া ট্রেকিং-র পাশাপাশি ক্যম্পিংও উপভোগ কার যাবে।
বুরান ঘাঁটি - হিমাচল প্রদেশের বুরান ঘাঁটিতে অনেকেই বরফের মরশুম শেষ হওয়ার পড়ে যান। তবে এখানকার ট্রেকিং পয়েন্টগুলিতে অগাস্টের পর থেকেই যাতায়াত শুরু হয়ে যায়। এই সময় এখানকার জঙ্গল এতটাই অপরূপ হয়ে ওঠে যে সেখান থেকে ফিরতে আপনার মন চাইবে না।
গোয়েচলা - সিকিমের ইউকসোম অঞ্চলের গোয়েচলা থেকে বেশকিছু বড় পর্বত দেখা যায়। এখান থেকে আপনি কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতই নয়, আরও ১৮টি পাহাড়ের চূড়াও দেখতে পাবেন। এটি নেপালের সবচেয়ে বড় ট্রেকিং অঞ্চলের খুবই কাছে অবস্থিত।