বিগত কিছু বছর ধরে নভেম্বর মাসে একটা কথা খুব শোনা যায়। সেটা হল, 'নো শেভ নভেম্বর'। তারকা থেকে জেন -ওয়াই সকলেই ঝুঁকছেন এই চলতি ট্রেন্ডের দিকে।
কিন্তু কী সত্যি লুকিয়ে আছে এই 'নো শেভ নভেম্বর'-র পেছনে তা কি জানান? রইল সেই তথ্য।
আমাদের চুলের কদর ও বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর প্রচার করা হয় 'নো শেভ নভেম্বর'। যেটি মূলত ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের কথা মাথায় রেখেই শুরু হয়েছে।
বলা যায় ক্যান্সারের প্রতিরোধ সম্পর্কে শিক্ষার্থে কিংবা যাঁরা এই যুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁদের সহায়তা করার জন্যে এক মাস শেভিং না করে কিংবা সেলুনে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, সেটি এই মারণ রোগীদের সহায়তায় দান করুন।
মূলত ক্যান্সারের সচেতনতা বাড়াতে শেভিং এবং গ্রুমিং ভুলে তার পিছনে বরাদ্দ অর্থ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সাহায্যার্থে তুলে দেওয়াই 'নো শেভ নভেম্বর'-র মূল উদ্দেশ্য।
তবে মানবিক এই উদ্যোগ, সমর্থন করার জন্যে বর্তমানে এটি একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড হিসাবে পরিচিত হয়েছে।
এমনিতেও বিগত কয়েক বছর ধরে ছেলেদের 'বিয়ার্ড লুক' অর্থাৎ দাড়ির রাখাটাই ফ্যাশনে ইন। তাই 'নো শেভ নভেম্বর' অনেকেই সমর্থন করেন।
তবে বহু মানুষ এই একমাসব্যাপী পালিত কর্মসূচিকে আসল তথ্য না জেনেই শুধুমাত্র ফ্যাশন ট্রেন্ড বজায় রাখতে, গত নভেম্বর মাসে দাড়ি কাটে না।
তবে একমাস ব্যাপী এই কর্মসূচি এবং 'বিয়ার্ড' সুন্দরভাবে বজায় রাখতে আপনাকে আপনার দাড়ির যত্ন নিতে হবে সঠিকভাবে। নিয়মিত তেল লাগাতে হবে এবং পরিষ্কার রাখতে হবে দাড়ি। তার সঙ্গে হালকা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করা বাধ্যতামূলক। বড় দাড়িতে তেল ব্যবহার করলে তা আপনার মুখের ময়েশ্চারাইজ করবে, যার ফলে আপনার ত্বক হাইড্রেটেট থাকবে।
দাড়ির সঠিক পরিচর্যা করতে সুক্ষ দাঁড়যুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে সরু দাঁড় যুক্ত বৃত্তাকার ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন এবং নিয়মিত সঠিক যত্ন নিতে পারেন।
'নো শেভ নভেম্বর'-র এই কর্মসূচির সমর্থনে স্টাইল মেনটেন্ট বজায় রাখতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন স্টাইল ইন ক্রিম।