বর্তমান সময়ে ভুল খাওয়া দাওয়া এবং নিজের প্রতি অযত্নের কারণে গত কয়েক বছরে ৪০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়েছে। অনেক সময় পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক এর জন্য দায়ী হতে পারে।
কিন্তু জীবনধারা ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা হার্টের জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় বা মাঝরাতে শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এ ছাড়া পা ফুলে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকেও উপেক্ষা করা উচিত নয়।
আধুনিক জীবনযাত্রায় মানসিক চাপের কারণে মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়েছে। তা ছাড়া বর্তমান সময়ে মানুষ আগের তুলনায় অনেক কম সক্রিয় থাকে। সুস্থ হার্টের জন্য, আরও বেশি করে হাঁটতে হবে, সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। এর পাশাপাশি সময়মতো ঘুমোন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এছাড়াও, তামাক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময় শ্বাস নিতে অসুবিধা- যদি কোনও শারীরিক কার্যকলাপ করার সময় আপনাকে শ্বাসকষ্ট সহ বুকে ব্যথার সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তবে এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনার হার্ট সুস্থ নয়। হার্ট সম্পর্কিত কিছু রোগ রয়েছে।
মাঝরাতে শ্বাসকষ্ট- রাতে শ্বাসকষ্টের কারণে ঘুম ভেঙে গেলে তা হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়।
পায়ে ফোলাভাব এবং সিঁড়ি বেয়ে উঠতে অসুবিধা- সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় যদি আপনার খুব শ্বাসকষ্ট হয়। পায়ে ফোলাভাব দেখা দেয় তবে এটি নির্দেশ করে যে আপনার হার্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে।
পারিবারিক ইতিহাস- আপনার বাড়িতে যদি ইতিমধ্যেই কারও হৃদরোগ বা ব্যাড কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকে, তবে আপনার মধ্যেও এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বুকে ব্যথা এবং ভারী হওয়া- যদি হঠাৎ তীব্র বুকে ব্যথা বা বুকের মাঝখানে ভারী হওয়া বা জ্বালাপোড়া হয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তি বাড়তে থাকে তবে এটি সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
ক্লান্তি- অল্প কাজ করার পর যদি আপনার ক্লান্তি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়, তবে এটি হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়।