Advertisement

Christmas 2020: Jingle Bells বাজিয়ে আজ রাতেই আসছেন সান্তা! মোজায় দেবেন উপহার

জিঙ্গেল বেলস-র (Jingle Bells) গাইতে গাইতেই ২৪ ডিসেম্বর, বড়দিনের আগের রাতে (Christmas Eve) রাতে চুপি চুপি শহরে আসেন এক মোটা সোটা বুড়ো (Santa Claus)। কাঁধে মস্ত বড় একটা ঝোলা নিয়ে সকলকে উপহার দিতে পাড়ি দেন সান্তা ক্লজ। আজও মনে করেন বড়দিনের আগের রাতে তাঁদের কাছে সান্তা ক্লজ এসে উপহার দিয়ে যান। 

সান্তা ক্লজ
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 24 Dec 2020,
  • अपडेटेड 6:51 PM IST
  • বড়দিনের আগের রাতে চুপি চুপি শহরে আসেন সান্তা ক্লজ ।
  • ঝোলায় করে সকলকে দেন উপহার।
  • সান্তা ক্লজের মোজার মধ্যে দেওয়া উপহার নিয়ে আছে নানা পৌরাণিক গল্প।

চারিদিক থেকে ভেসে আসে ক্যারলের (Carol) সুর। জিঙ্গেল বেলস-র (Jingle Bells) গাইতে গাইতেই ২৪ ডিসেম্বর, বড়দিনের আগের রাতে (Christmas Eve) চুপি চুপি শহরে আসেন এক মোটা সোটা বুড়ো (Santa Claus)।

সাদা দাড়ি, লাল সাদা টুপি, লাল পোশাক, আর তার সঙ্গে কাঁধে মস্ত বড় একটা ঝোলা নিয়ে সকলকে উপহার দিতে পাড়ি দেন সান্তা বুড়ো ওরফে সকলের প্রিয় সান্তা ক্লজ। শুধু শিশু কেন অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক আজও মনে করেন বড়দিনের আগের রাতে তাঁদের কাছে সান্তাক্লজ এসে উপহার দিয়ে যান।   

যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই রীতি। ক্রিসমাস ইভে নিজেদের বালিশের পাশে কিংবা ঘরের কোন স্থানে মোজা রেখে এবং আশায় থাকেন সান্তার উপহারের।তবে জানেন কেন এই মোজা রাখার রীতি? কোথা থেকেই বা আসলো এই চল? এই বছর মোজা রাখার আগে জেনে নিন সব তথ্য। 

আরও পড়ুন: Christmas 2020: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, রইল বড়দিনের চেক লিস্ট

এই নিয়ে রয়েছে না না গল্প। তার মধ্যে কথিত আছে চতুর্থ শতাব্দীতে সেন্ট নিকোলাস নামে এক বিত্তশালী ব্যক্তি তুরস্কে ( আগে এশিয়া মাইনর) থাকতেন। নিকোলাস অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন।ছোটবেলায় সে তাঁর বাবা-মাকে হারায়। দুঃস্থদের সাহায্য করতেন তিনি। এমনকি অনেক সময়ে গোপনে তাঁদের জন্য উপহারও রেখে আসতেন।

ওই দেশেই এক ব্যক্তি অর্থের অভাবে তাঁর তিন মেয়েদের বিয়ে দিতে পাচ্ছিলেন না।একথা কানে আসে নিকোলাসের এবং এরপর তিনি সেই ব্যক্তির বাড়ির ছাদে উঠে তাঁর চিমনিতে সোনা ভরা থলি রেখে আসেন। ঘটনাচক্রে সেদিনই তিনি মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন চিমনিতে। 

নিকোলাস সেই মোজাতেই সোনা ভরে দিয়েছিলেন। তবে একবার নয়, মোট তিনবার। সোনা দেওয়ার সময়ে শেষবার সেই ব্যক্তি নিকোলাসকে দেখে ফেলেছিলেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন সকলের আড়ালে নিঃস্বার্থভাবে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে। তাই সাহায্যের কথা কাউকে জানাতে বারণ করে দিয়েছিলেন। তাও বিষয়টি চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর থেকে কেউ কোনও গোপন উপহার পেলেই মনে করতেন, বোধ হয় নিকোলাস দিয়েছেন।

Advertisement

ধীরে ধীরে নিকোলাসের গল্প তুরস্ক পেড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ল না না দিকে। জনপ্রিয় হয়ে নিকোলাস হয়ে উঠলেন সেন্ট নিকোলাস বা ফাদার নিকোলাস। 

আরও পড়ুন: Christmas 2020: বিস্কুট দিয়ে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু কেক, রইল রেসিপি

আবার কানাডার মুস্কোকা গ্রামকে বলা হয় সকলের প্রিয় সান্তা ক্লজের বাড়ি। সেখনে সান্তার নামে একটি মেইলিং পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে আজও লক্ষ লক্ষ চিঠি পৌছায়। এই ডাকের কোডটি হল,' H0H0H0'।

যিশু খ্রিস্টের (Jesus Christ) জন্মদিন মানেই আনন্দের উৎসব। সব বিষাদ ভুলে অপরের মুখেও হাসি ফোটাতে চান সকলে। সেই থেকে লোক বিশ্বাস অনুযায়ী বড়দিনের ঠিক আগের রাতে তিনি স্লেজ গাড়ি চেপে পৌঁছে যান  ঘরে ঘরে। সেই স্লেজ আবার টানে বল্গা হরিণ। উপহারের পাশাপাশি তিনি মনবাঞ্ছাও পূর্ণ করেন সবার। তাই ২৪ ডিসেম্বর রাতে মোজা ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেন্ট নিকোলাস বা সান্তা ক্লসের থেকে বিশেষ দিনে উপহার পাওয়ার আশায়।

আরও পড়ুন: Christmas 2020: মন খারাপ বো ব্যারাকের! বড়দিনের আগে ফাঁকা কলকাতার অ্যাংলো পাড়া

এছাড়াও ২৫ ডিসেম্বর মাদার মেরি কোলে যখন আসেন ছোট্ট যিশু, তখন তিনজন জ্ঞানী মানুষ আকাশের তারা অনুসরণ করে বেথেলহামে পৌঁছান। যিশুকে দেখার পর তাঁরা সোনা, ধূপ এবং গন্ধরস উপহার দেন তাঁকে। শোনা যায় সেই থেকেই বড়দিনে উপহার আদান প্রদানের রীতি চলে আসছে।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement