Cake without Alcohol: বড়দিন (Christmas)-এর বড় উপহার! রাজ্য সরকার এবার আনতে চলেছে অ্য়ালকোহল-ফ্রি কেক (Cake without Alcohol)। খুব শিগগিরি তা পাওয়া যাবে কলকাতায়। অনেক মানুষ আছে যারা মদ ছুঁয়েও দেখেন না। তাঁরাও যাতে জমিয়ে কেক খেতে পারবেন, তাই এই উদ্যোগ।
কেক ছাড়া বড়দিন হয় না
বাঙালির বড়দিন (Christmas) মানেই কেক। তা সে ফ্রুট কেক হোক বা চকোলেট, ভ্যানিলা। কেক পছন্দ করেন না এমন কে আছেন! তবে অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা কোনও ভাবেই মদ বা অ্যালকোহল খান না। এমনকী কোনও খাবারে তা থাকলে সেই খাবারও মুখে তোলেন না।
ঘটনা হল কেক তৈরির সময় অনেক ক্ষেত্রে মেশানো হয় অ্যালকোহল। ফলে তাঁরা সেই কেক খেতে পারেন না। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি। এবার তাঁরা দিব্যি খেতে পারবেন অ্য়ালকোহল-ফ্রি কেক (Cake without Alcohol) ফ্রুট কেক। সৌজন্য রাজ্য সরকার।
সুসংহত এলাকা উন্নয়ন নিগম
রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সুসংহত এলাকা উন্নয়ন নিগম (West Bengal Comprehensive Area Development Corporation)। সেখানে অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যুক্ত। তাঁরাই তৈরি করছেন এই নয়া কেক। মানে অ্য়ালকোহল-ফ্রি কেক (Cake without Alcohol)।
ঠিক করা হয়েছে, আপাতত বিভিন্ন মেলায় তা বিক্রি করা হবে। তারপর তা আরও বেশি তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যাতে কলকাতা এবং আশপাশের মানুষদের খাওয়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সিঁথির মোড়ে 'বুর্জ খলিফা' ৫০ টাকায়! শেষ হওয়ার আগে কিনে ফেলুন
তৈরি হচ্ছে সেই কেক
ফ্রুট জুস দিয়ে ড্রাই ফুটস সোক করানো হয়েছে। সেগুলো কেকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রীতি অনুসারে, কেক বানানোর আগে হয় মিক্সিং সেরেমনি। এখানেও তাই হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা অংশ নিয়েছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
এই কেকে কোনও অ্যালকোহল নেই। ২০০ গ্রাম কেকের দাম ১০০ টাকা, পাফ কেক ২০ টাকা। সরস মেলায় সেটা পাওয়া যাবে। তারপর ধাপে ধাপে সরবরাহ আরও বাড়ানো হবে। সেই লক্ষ্য় নিয়েই এগোচ্ছে নিগম।
পর্ষদ জানাচ্ছে
বুধবার সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (West Bengal Comprehensive Area Development Corporation)-এর অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক সৌম্যজিৎ দাস বলেন, "কোনও খাবারে অ্যালকোহল থাকলে তা খান না অনেক মানুষ। তাঁরাও যাতে এই ফ্রুট কেক খেতে পারেন, সে জন্য এই উদ্য়োগ।"
সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদ (West Bengal Comprehensive Area Development Corporation) রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অজস্র প্রকল্প চালাচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এর সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা নিজেরা উপার্জন করতে পারছেন। ফলে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন তাঁরা।