দার্জিলিংয়ের হিলকার্ট রোড ধরে টয়ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে। ব্রিটিশ আমলের সেই চেনা দৃশ্য থাকলেও পুরনো ফিল উধাও। নতুন ডিজেল ইঞ্জিনে সেই নস্টালজিয়া নেই। টয় ট্রেনের বাঁক ঘোরা, বাঁশির সুর, ধোঁয়া উড়তে থাকা ইঞ্জিনের গন্ধে মন কেমন করে না। কিন্তু এবার আবার সেই ফিল ফিরিয়ে আনতে চলেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।
পাহাড়ি পথের সেই বাষ্পচালিত ইঞ্জিন বহু পর্যটকের নস্ট্যালজিয়ার অংশ। কিন্তু শতাব্দীপ্রাচীন ৭৯৯বি লোকোমোটিভের বয়সের ভার আর সইছিল না। তাই বহু বছর আগে সেটিকে রেলপথ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।
তার পর প্রায় তিন দশক ধরে ইঞ্জিনটি জায়গা করে নেয় নয়াদিল্লির ন্যাশনাল রেলওয়ে মিউজ়িয়ামে। স্টিম ইঞ্জিনের পুরোনো গৌরব সেখানে নীরবেই টিকে ছিল।
এ বার সেই ইঞ্জিনই ফিরল তার পুরোনো ঠিকানায়। ‘অবসর’ কাটিয়ে আবার ট্র্যাকে ফেরার প্রস্তুতি। রেল সূত্রে খবর, ১২৫ বছরের পুরোনো এই লোকোমোটিভকে ফের যাত্রিবাহী টয় ট্রেনে ব্যবহার করার লক্ষ্যেই শুক্রবার কার্শিয়াংয়ে আনা হয়েছে।
ফিরে আসার পর থেকেই চলছে মেরামতির তোড়জোড়। ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃত তিনধারিয়া ওয়ার্কশপেই ইঞ্জিনটির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। টয় ট্রেনের বাষ্পচালিত ইঞ্জিন মেরামতির একমাত্র জায়গা এই ওয়ার্কশপই।
শুধু মেরামতি নয়, ইঞ্জিনে লাগবে এমন যন্ত্রপাতিও তৈরি হয় এখানেই। ডিএইচআর সূত্রে খবর, ৭৯৯বি ইঞ্জিনটি পুনরুজ্জীবনের আগে নতুন নাম পাবে। ইতিমধ্যেই তিন-চারটি নামের প্রস্তাব এসেছে দপ্তরে।
ডিএইচআর-এর ডিরেক্টর ঋষভ চৌধুরী বলেন, ইঞ্জিনটি চালু হলে আনন্দ আরও বাড়বে পর্যটকদের। এত পুরোনো, একসময় বাতিল হওয়া ইঞ্জিনকে আবার জীবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা তাঁদের রোমাঞ্চিত করছে।
কবে থেকে এই লোকোমোটিভ পাহাড়ি পথে ছুটবে, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছে না। ডিএইচআর কর্মীদের ধারণা, পুরোপুরি তৈরি হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। তবে একবার চালু হলে, এই ঐতিহাসিক ইঞ্জিনই হবে দার্জিলিং টয় ট্রেনের নতুন আকর্ষণ।