Advertisement

International Day of Forests 2022 : ঝড়-ঝাপ্টা থেকে কলকাতাকে বার বার বাঁচায়, কেমন আছে সুন্দরবন?

International Day of Forests 2022: প্রতিটা সাইক্লোনে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে সুন্দরবনের মানুষের ওপর, তাঁদের জীবিকা-জীবনের ওপর। সেখানকার মানুষে মূলত কৃষিজীবী। তাঁদের চাষের জমি থেকে শুরু করে মাঠ, পুকুর সব ভরে যায় নোনা জলে।

সুন্দরবনে চলছে ম্যানগ্রোভ পোঁতার কাজ (ফাইল ছবি)
অভিজিৎ বসাক
  • কলকাতা,
  • 21 Mar 2022,
  • अपडेटेड 5:27 PM IST
  • ২১ মার্চ আন্তর্জাতিক বন দিবস হিসেবে পালন করে
  • সবুজের গুরুত্বকে মনে করিয়ে দিতে এই দিনটি পালিত হয়
  • থিম হল "বন এবং টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার"

International Day of Forests 2022: রাষ্ট্রপুঞ্জ ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বন দিবস (International Day of Forests 2022) হিসেবে পালন করে। বিশ্বজুড়ে সবুজের আবরণের গুরুত্বকে মনে করিয়ে দিতে এই দিন (International Day of Forests 2022)-টি পালিত হয়। এ বছরের আন্তর্জাতিক বন দিবস (International Day of Forests 2022)-এর থিম হল "বন এবং টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার।

সাইক্লোন থেকে কলকাতাকে বাঁচায় সুন্দরবন
প্রতি বছর যেন নিয়ম করে সাইক্লোন আসে। সুন্দরবনের ওপর সেই সাইক্লোনের বেশিরভাগ প্রভাব পড়ে। আর সুন্দরবন বুক চিতিয়ে সেই সাইক্লোনের সামনে দাঁড়িয়ে রক্ষা করে শহর কলকাতাকে। আজ বিশ্ব বন দিবস (International Day of Forests 2022)-এ দেখে নেওয়া যাক কেমন আছে সুন্দরবন, সেখানের মানুষ ও বন্যপ্রাণ। 

পরিবেশপ্রেমী কিংশুক মণ্ডলের মতে, প্রতিটা সাইক্লোনে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে সুন্দরবনের মানুষের ওপর, তাঁদের জীবিকা-জীবনের ওপর। সেখানকার মানুষে মূলত কৃষিজীবী। তাঁদের চাষের জমি থেকে শুরু করে মাঠ, পুকুর সব ভরে যায় নোনা জলে। বাড়ি ঘর ভাঙে। নলকূপও অনেক ক্ষেত্রে ডুবে যায়। ঝড়ের পর দেখা যায় মাথার ওপর ছাদ নেই, খাবার জলটুকুও নেই। তখন তাঁদের ভরসা ত্রাণ। আবার তাঁরা আস্তে আস্তে গড়ে তোলেন সেসব। এত কিছুর পরও এরাই সুন্দরবনের রক্ষাকর্তা। এরাই দল বেঁধে বাঁধের ধারে ম্যানগ্রোভ চারা লাগান। যাতে পরের ঝড়ে ক্ষতিটা একটু কম করা যায়। বাঁধটা একটু পোক্ত হয়।

আরও পড়ুন: বাগানে মেহগনি লাগিয়ে কয়েক বছরে হয়ে যান কোটিপতি, জানুন কীভাবে

রক্ষাকর্তাই বিপদে!
তিনি বলেন, "সুন্দরবনের জঙ্গলের ওপর মানুষের জীবিকাও নির্ভর করে। নদীর মাছ, কাঁকড়া বনের মধু সংগ্রহ করতে জঙ্গলে ঢোকেন। সাম্প্রতিক অতীতে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে যেভাবে জলস্তর বাড়ছে, তাতে সুন্দরবনের অস্তিত্ব বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে।"

Advertisement

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বন্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অধিকর্তা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে আবার রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা বন বা বনের পণ্যের ওপর কোনও না কোনও ভাবে নির্ভরশীল। তাঁৎ আক্ষেপ, তা সত্ত্বেও আমরা নির্বিচারে গাছ কেটে চলেছি জীবনযাত্রা উন্নতির নামে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্বব্যাপী হইচই, মানুষকে বনের গুরুত্ব সম্পর্কে শেখানো, বিভিন্ন দিবস পালন  ইত্যাদি  সত্বেও সারা বিশ্বে বন উজাড় হচ্ছে উদ্বেগজনক হারে।"

তিনি বলেন, "বন শুধু মাত্র এক অমূল্য সম্পদ নয়, বন ও বন্যপ্রাণ আমাদের জীবন। আমরা যদি বেঁচে থাকতে চাই তা হলে আমাদের বন্যসম্পদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে।"

শিক্ষা নিতে হবে ইতিহাস থেকে
তিনি আরও বলেন, "ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রজাতিগুলি সব থেকে  প্রথমে বিলুপ্ত হয়ে যায়। যেমন হয়েছিল ডাইনোসর। আমরা মানুষরা  কিন্তু এখন সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রজাতি। তাই আর ভাবার সময় নেই। এখন কাজ করার সময়। এখন না হলে আর কখনই না।"

কেন এই দিনটি পালিত হয়?
পরিবেশকর্মী সৈকত রানা জানান, আন্তর্জাতিক বন দিবস (International Day of Forests 2022)-এর লক্ষ্য হল জীবনচক্রের ভারসাম্য রক্ষায় বনের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং অবদান সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে জনসচেতনতা আরও বাড়িয়ে তোলা। শুধুমাত্র আজকের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ আবরণের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে দিনটি পালিত হয়। দিনটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্রচার করে যেখানে বন-নির্ভর সম্প্রদায়গুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।

ভারতে বনভূমি
তিনি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে জনসংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বাড়লেও ভারতের এক পঞ্চমাংশ ভূমি ধারাবাহিকভাবে বনের অধীনে রয়েছে। দ্বিবার্ষিক স্টেট অফ ফরেস্ট রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ভারতের বনাঞ্চল ৩,৯৭৬ বর্গ কিমি বা ০.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

আরও পড়ুন: প্রথম মহাকাশযাত্রায় নিরাপদ Jeff Bezos? অটোমেটিক লঞ্চে প্রশ্ন!

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement