বয়সের ২৮ বছর। কিন্তু রোম্যান্সে ঘাটতি নেই। ৬৬-র অরুণ লাল ঘর বাঁধলেন ৩৮-র বুলবুল সাহার সঙ্গে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের ছবি আগেই নেটমাধ্যমে ছড়িয়েছিল। রেজিস্ট্রি বিয়েও সারলেন অরুণ-বুলবুল। নববধূর গালে চুম্বন এঁকে দিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
এটা অরুণ লালের দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম স্ত্রীকে রিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বুলবুলের হাত ধরেছেন। রিনার শরীর ঠিক নেই। তাঁর অনুমতি নিয়ে বুলবুলের সঙ্গে রেজিস্ট্রি সেরেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশনের পর কেক কেটে উদযাপন করেন অরুণ ও বুলবুল। গোলাপি রঙের কেকে লেখা ছিল,'অরুণ ওয়েডস বুলবুল'।
একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন বুলবুল। রান্না করতে ভালবাসেন। ২০১৯ সালে একটি রান্নার শোয়ে অংশও নিয়েছিলেন। অরুণের নম্র স্বভাব ও সরলতা তাঁকে আকৃষ্ট করেছে বলে জানান বুলবুল।
অরুণের ক্যানসার হওয়ার সময় তাঁর পাশে ছিলেন বুলবুল। বিয়ের পর অরুণের অসুস্থ প্রথম স্ত্রীর দেখভালও করবেন তিনি।
রাতে ধর্মতলার একটি হোটেলে রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছিল। অরুণের বন্ধুবান্ধরা এসেছিলেন। আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
রিসেপশনে বাঙালি খানাই ছিল। চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ফিশ ফ্রাই, মাটন, মিষ্টি দই ও অন্যান্য রসনা।
বিয়ের রিসেপশনে রংমিলান্তি বর-কনের। ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবি ও মেরুন কোটে রিসেপশনে হাজির হন অরুণ লাল। নব বধূ সেজেছিলেন মেরুন শাড়িতে। সেই সঙ্গে গয়না।
বিয়ে সারা হল। লোক খাওয়ানোও হল। এবার মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন? আপাতত কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে না নবদম্পতি। অরুণ জানান,'বেঙ্গালুরু যেতে হবে। বাংলার রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানেই হবে হানিমুন।'
অরুণের কথায় সায় দেন নববধূ। তিনি বলেন,'বেঙ্গালুরুতে যাব। বাংলা দলকে সমর্থন করব।'