মঙ্গলবার মধ্যরাতে রূপকথা লেখা হয়েছে। লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ও আলভারেজ (Julian Alvarez) লিখেছেন। বললে অত্যুক্তি হয়, এই মেসির আরেক নাম ম্যাজিক দেওয়াই যায়। সব ছবি সৌজন্য: লিওনেল মেসির ফেসবুক প্রোফাইল
ভক্তরা যদিও বলছেন, মসিহা (Messiah)। এই রাতেই আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড লেখা হয়ে গেল LM10-এর নামে।
কাতার বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনার হিরো গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভাঙলেন মেসি। FIFA World Cup-এ আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলের অধিকারী এখন মেসি। PSG-র তারকা বিশ্বকাপে ২৫টি ম্যাচে ১১টি গোল করেছেন। আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে যা নেই।
খেলার শুরুটা অবশ্য ভাল করেছিল ক্রোয়েশিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক পরিকল্পনা করে নেমেছিলেন মরডিচরা। কিন্তু আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করেন তাঁরা।
ক্রোয়েশিয়া প্রেসিং ফুটবল খেলছিল। মেসিদের পায়ে বল থাকলেই তাড়া করছিল ক্রোয়েশিয়া। ফলে বলের দখল বেশি রাখতে পারছিল না আর্জেন্টিনা। দুই প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল ক্রোয়েশিয়া।
কিন্তু সজাগ ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণ। ৩৯ মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ।
প্রতি আক্রমণ থেকে নিজেদের অর্ধে বল ধরে প্রায় ৫০ গজ দৌড়ে যান তিনি।
বক্সের বাইরে তিন ডিফেন্ডারকে চমক দিয়ে বক্সে ঢোকেন। লিভাকোভিচকে পরাস্ত করে গোল করেন তিনি।
তবে সেই গোলে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারদেরও ভুল ছিল। আলভারেজকে আটকাতে পারেননি তারা। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হারের পর প্রতিটি ম্যাচকে ফাইনাল ধরে নিয়ে এগিয়েছেন মেসিরা। LM10-এর কথায়, ‘পুরো স্কোয়াডকে নিজেদের শক্তি বোঝানোর জন্য সেটা অ্যাসিড টেস্ট ছিল। আমরা বাকি ম্যাচগুলো জিতেছি এবং যা করেছি তা খুবই কঠিন ছিল। সব ম্যাচই ফাইনাল ছিল এবং আমরা জানতাম যে, যদি আমরা জিততে না পারি তবে আমাদের জন্য সবকিছু জটিল হয়ে যেত। আমরা পাঁচটা ফাইনাল জিতেছি এবং আশা করি রবিবারের ফাইনালের ক্ষেত্রেও তাই হবে। প্রথম ম্যাচে আমাদের কিছু জিনিসের অভাব ছিল। তবে সেটা আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।’