দারুণ ফর্মে রয়েছে গুজরাত টাইটান্স( Gujarat Titans)। ফর্মে রয়েছেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও (Hardik Pandya)। বহুদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে হার্দিক। তাই টি২০ বিশ্বকাপের দলে ফের নিজের জায়গা ফিরে পেতে আইপিএল-এ তাঁর এই ফর্ম সাহায্য করতে পারে।
চোটের কারণে হার্দিক পান্ডিয়া বল করতে পারছিলেন না। ব্যাট করতে পারলেও খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি হার্দিক। তাই এবারের আইপিএল-এ তাঁর ব্যাটে বলে সফল হওয়া ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
দিল্লি ক্যাপিটালস ও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচেই বল করতে দেখা গিয়েছে হার্দিককে। এমনকি পাওয়ার প্লেতেও মহম্মদ শামির সঙ্গে জুটি বেঁধে বল করেছেন হার্দিক।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও হার্দিককে মেগা নিলামের আগে রিটেন করেনি। তবে আইপিএল-এর নতুন দল গুজরাত টাইটান্স তাঁকে অধিনায়ক করে। এখনও অবধি একটাও ম্যাচ হারেনি হার্দিকের দল।
হার্দিক পান্ডিয়া ধারাবাহিকভাবে ১৪০ কিমি-র বেশি গতিতে বোলিং করছেন। পান্ডিয়াও গুজরাটের হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ স্থাপন করছেন।
২০২১ সালের টি২০ বিশ্বকাপে শেষবার ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষবার খেলতে নেমেছিলেন হার্দিক। তারপর থেকে আর ভারতীয় দলে ঢুকতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।
দিল্লির বিপক্ষে হার্দিক পান্ডিয়া ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।ব্যাট হাতেও দারুণ পারফর্ম করেছেন গুজরাত ক্যাপ্টেন।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া লখনউয়ের বিপক্ষে ৩৩ এবং দিল্লির হয়ে ৩১ রানে আউট হন। একই সময়ে, পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে ২৭ রান করে রানআউট হন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই অলরাউন্ডারের খোঁজ জোরদার করেছিল ভারতীয় দল। এর জন্য ভেঙ্কটেশ আইয়ার থেকে শার্দুল ঠাকুর পর্যন্ত চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পান্ডিয়ার ফিটনেস এবং সঙ্গীর ভালো পারফরম্যান্সে টিম ইন্ডিয়ার এই সমস্যা এখন মিটে যাবে বলে মনে হচ্ছে।