বাগান সমর্থকদের মুখে এখন একটাই কথা। এই সাদা-কালো জার্সিটাই নাকি যত নষ্টের গোড়া। এই জার্সি পরলেই নাকি জিততে পারে না এটিকে মোহনবাগান। আর সেকারণে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এই ড্র একেবারে মেনে নিতে পারছে না বাগান সমর্থকেরা। আজ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছে এটিকে মোহনবাগান। আপাতত পয়েন্ট টেবিলে তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ঝুলিতে রইল ২১ পয়েন্ট।
আজ শুরু থেকেই দু'দলের মধ্যে টানটান লড়াই দেখতে পাওয়া যায়। যদিও প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। শুরু থেকেই আজ আক্রমণের রাস্তায় হেঁটেছিল হাবাসের ছেলেপুলেরা। ম্য়াচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ১৮ গজ দূর থেকে গ্রেসিয়ার শট। কিন্তু গোলপোস্টের কিছুটা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেল। ৮ মিনিটে পালটা আক্রমণের রাস্তায় গিয়েছিল এফসি গোয়া। জেসুরাজের ক্রস ক্লিয়ার করলেন অরিন্দম। ২৮ মিনিটে গ্রেসিয়ার কর্নার থেকে শটে হেড করেন শুভাশিষ। কিন্তু, বল গোলপোল্টে লেগে ফিরে এল। অবশেষে বিপদ মুক্ত করলেন জেমস। ৪৩ মিনিটে ব্রেন্ডনের ফ্রি-কিক থেকে এডু বেদিয়ার হেড। বল লক্ষ্যের অনেকটা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেল। অবশেষে শেষ হল প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ অনেকটাই বাড়ায় এফসি গোয়া। ৪৯ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পেল না এফসি গোয়া। শেরিটনের লব শট অরিন্দমকে পরাস্ত করলেও গোল পোস্টে লেগে ফিরে এল। ৫৩ মিনিটে শেরিটনের থেকে বল পেয়ে ১৮ গজ দূর থেকে শট মেরেছিলেন লেনি। কিন্তু, নেটের বাইরে লাগে বল। তবে এফসি গোয়া চেষ্টার ত্রুটি না রাখলেও প্রথম গোলের দরজা খুলল এটিকে মোহনবাগান। ৭৪ মিনিটে এল সেই কাঙ্খিত গোল। গোল করলেন এডু গার্সিয়া। গার্সিয়ার অসাধারণ একটা ফ্রি-কিক থেকে বল গোয়ার জালে জড়িয়ে গেল। গোয়ার গোলরক্ষক নবীনের কিছুই করার ছিল না।
একটা গোল খাওয়ার পরেও কীভাবে নিজেদের সামলে নিতে হয়, সেটা এফসি গোয়ার থেকে শিক্ষণীয়। তারাও পালটা গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। ৮৪ মিনিটে এফসি গোয়ার হয়ে সমতা ফেরালেন ইশান পান্ডিতা। শেরিটনের কর্নার কিক থেকে বল প্রীতমের গায়ে লেগে ফিরে আসছিল। সেই ফিরতি বলেই অসাধারণ একটা গোল উপহার দিলেন ইশান। অবশেষে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
ম্যাচের পর বাগান সমর্থকদের সেই পুরনো দাবিটা আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। দাবি, মোহনবাগান নামের আগে থেকে এটিকে নামটা সরাতে হবে। কারণ, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এটিকে কর্তারা এই সাদা-কালো (তৃতীয় কিট) জার্সির ব্যাপারে নাকি ঘুণাক্ষরেও জানাননি। তখন জার্সিতে সবুজ-মেরুন রং রাখারই কথা হয়েছিল। কিন্তু, এখন এই জার্সিতে দলকে খেলিয়ে কর্তারা নাকি নিজেদের কথার খেলাপ করছেন বলেই দাবি বাগান সমর্থকদের।
যাইহোক, আজকের ম্য়াচে ড্র মোহনবাগানকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আগামী ম্যাচগুলোয় জয়ের দিকেই তাকিয়ে থাকবে হাবাস অ্যান্ত কোম্পানি।