একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ব্রাইটের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষরক্ষা করতে পারল না লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহূর্তে হায়দরাবাদের হয়ে সমতা ফেরালেন অধিনায়ক আদ্রিয়ান।
প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচটা জিততেই হত এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাচটা ড্র হয়ে গেল। আর সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্নটাও কার্যত ভেঙে গেল। ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত পয়েন্ট টেবিলে নবম স্থানে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
আজ ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। তবে একথাও অস্বীকার করা যাবে না যে শুরুর ৪৫ মিনিট ম্যাচের রাশ কার্যত নিজ়ামদের হাতেই ছিল। একের পর এক আঘাত তারা ইস্টবেঙ্গল দূর্গে হানলেও, গোলের দরজা খুলতে পারেনি।
ম্যাচের প্রথম গোলটা আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৮ মিনিটে গোল পেলেন ব্রাইট এনবাখোরে। একটা লম্বা বল বাড়িয়েছিলেন সার্থক গলুই। সেটা মাথা দিয়ে ব্রাইটের দিকে ঠেলে দেন অ্যান্টনি পিলকিংটন। ওয়ান-টু-ওয়ান পরিস্থিতি থেকে গোল করলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রিয় উজ্জ্বল দা।
৮২ মিনিটে হলওয়ের পাস থেকে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন ব্রাইট। কিন্তু কাট্টিমানি ব্লক করলেন। রেফারির কাছে লাল-হলুদ ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন জানালেও, সেকথায় কান দিলেন না এল অজিতকুমার মেটেই।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট পরও ১-০ গোলে এগিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু, তারপরেই ঘটল অঘটন! ৯০+২ মিনিটে হায়দরাবাদের হয়ে সমতা ফেরালেন আদ্রিয়েন। ফ্রান স্যান্ডাজ়ার পাস থেকে তিনি গোল করলেন। এই একটা গোলই লাল-হলুদের সব হিসেব এলোমেলো করে দেয়।
গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ রবি ফাওলার। নির্বাসিত থাকার কারণে তিনি ডাগ-আউটে বসতে পারেননি। শেষমুহূর্তে হায়দরাবাদ গোলটা পরিশোধ করে দেওয়ার পর তাঁর চোখেমুখেও স্পষ্ট হতাশা দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল।
হায়দরাবাদ আজ ড্র করলেও ১ পয়েন্ট নিয়ে তারা চতুর্থ স্থানে বসে রইল। নিজাম শহরের ঝুলিতে এখন ২৪ পয়েন্ট রয়েছে। হায়দরাবাদ এফসির আকাশ মিশ্রাকে ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আজকের ম্যাচ হায়দরাবাদ ড্র করার কারণে চলতি আইএসএল টুর্নামেন্টের সবথেকে বড় উপহারটা এটিকে মোহনবাগান পেয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গল প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেলেও টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে উঠে গেল আন্তোনিও হাবাসের দল।
(প্রত্যেকটা ছবিই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের টুইটার পেজ থেকে সংগৃহীত)