কেউ নিয়ে যাচ্ছেন স্ত্রীর জন্য গাঁদা ফুলের টব, তো কেউ বাকেট সিট। ক্যামেরার ট্রলি নিয়ে চলছে জয় রাইড। লিওনেল মেসির কলকাতা সফর হয়ে থাকল কলঙ্কের অধ্যয়। মনে করাল বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের কথা, মিল খুঁজে পাওয়া গেল নেপালের জেন জি বিপ্লবের সঙ্গেও।
মেসিকে দেখার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করেও এক ঝলকও দেখতে পারেননি সাধারণ সমর্থকরা। তার জেরেই ক্ষুব্ধ তারা। ভাঙা চেয়ার, লণ্ডভণ্ড গোটা যুবভারতী।
জুলাই বিপ্লবের সময় সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা ঢাকার গণভবনে ঢুকে নানা জিনিস নিয়ে আসতে দেখা যায়। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই নেপালে ক্ষমতা বদল হয়ে গিয়েছে। জেন জির সেই বিপ্লবে দেখা গিয়েছিল বিপ্লবীদের নানা জিনিস চুরি করতে।
সমর্থকদের দাবি, সারা মাসের স্যালারি খরচ করে তাঁরা এসেছেন মেসিকে দেখার জন্য। নেতা মন্ত্রীদের দেখার জন্য নয়। এক সমর্থক বলেন, 'অরূপ বিশ্বাস পারলে কোলে উঠে যাচ্ছিলেন মেসির। নেতা মন্ত্রী, নিরাপত্তারক্ষীদের ভিড়ে চুল পর্যন্ত দেখতে পাইনি মেসির।'
চরম অব্যবস্থা। মাথা হেঁট শহর কলকাতার। লিওনেল মেসিকে দেখতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সাধারণ সমর্থকরা। মাত্র ১০ মিনিটের মেসি দর্শনে গুনতে হল গোটা মাসের স্যালারি।
ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দর্শকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
তবে কবে কীভাবে তা হবে সেটা যদিও জানানো হয়নি। ক্ষুব্ধ সমর্থকরা যুবভারতীর যে সম্পত্তি নষ্ট করেছেন, তার কী হবে সেটাও অস্পষ্ট।
এমন পরিস্থিতির জেরে ক্ষমা চেয়ে পোস্ট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। পাশাপাশি তদন্ত কমিটি গড়ার কথাও জানিয়ে দেন তিনি।