নতুন বছরের শুরুটা ইস্টবেঙ্গল দলের কাছে যথেষ্ট ভালো বার্তা বহন করে এনেছে। শেষ তিনটে ম্যাচে লাল-হলুদ ব্রিগেড যেভাবে খেলেছে, তা দেখে অনেকেই স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছেন যে কলকাতার এই দলটা আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। প্রথমে ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জয়। তারপর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে অল্পের জন্য ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। অবশেষে গতকাল বেঙ্গালুরু এফসিকে তারা ১-০ গোলে পরাস্ত করেছে। বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে গতকাল জয়সূচক গোলটি করেছেন দলের জার্মান মিডফিল্ডার মাত্তি স্টেইনম্যান। ম্যাচের পর তাঁকে দারুণ উচ্ছ্বসিত দেখাল। সাফ জানিয়ে দিলেন, "এবার আশা করি আমরা নিজেদের জাত চেনাতে পারছি।"
গতকাল ম্যাচের পর স্টেইনম্যান বললেন, "এই ম্যাচটা জিততে পেরে খুব ভালো লাগছে। এটা আমাদের কাছে অন্যতম বড় জয়। ছ'দিনের মধ্যে তিনটে ম্যাচ খেলা কম বড় কথা নয়। তারমধ্যে দুটো ম্যাচে আমরা জয়লাভ করেছি। আমরা নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত। ম্যাচের প্রথমার্ধটা আমাদের কাছে খুবই ভালো গেছে। আমরা বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ি। তবে মোদ্দা কথা হল, এটা আমাদের কাছে একটা বড় জয়।"
গোয়ার ফাতোরদা স্টেডিয়ামে এই ম্য়াচের আয়োজন করা হয়েছিল। ২০ মিনিটের মাথায় গোটা ম্যাচের একমাত্র গোলটি করলেন স্টেইনম্যান। প্রথমে বক্সের ডানদিকে বল পেয়েছিলেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। অঙ্কিতের প্রথম ক্রসটা বেঙ্গালুরুর ফুটবলাররা আটকে দেয়। কিন্তু দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় তিনি নারায়ণের কাছে বলটা পাঠান। নারায়ণের থেকে বলটা গেল স্টেইনম্যানের কাছে। জার্মানির এই ফুটবলার ডান পায়ের আউটস্টেপে ফ্লিক করে বলটা বিপক্ষের জালে জড়িয়ে দিলেন।
১০ ম্যাচ খেলে আপাতত ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। আপাতত পয়েন্ট টেবিলে তারা ন'নম্বরে রয়েছে। স্টেইনম্যান বললেন, "গত ম্যাচেই (এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে) আমরা নিজেদের জাত চেনাতে পেরেছিলাম। প্রমাণ করতে পেরেছিলাম, আমরা কতটা ভালো দল। এই লিগে আমরাও ম্যাচ জিততে পারি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় লেগে আমরা কেমন খেলব, তার আঁচ ইতিমধ্যেই আশা করি দিতে পেরেছি।"
পরপর দু'ম্যাচে দুটো গোল করলেও গত ম্যাচে গোল করতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ব্রাইট এনবাখোর। কিন্তু, ব্রাইটের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত স্টেইনম্যান। তিনি বললেন, "ব্রাইটের খেলা প্রত্যেকেই দেখেছে। সবাই জানে যে ওর মধ্যে কতটা ক্ষমতার রয়েছে। বল ধরে রাখার, সতীর্থ খেলোয়াড়কে পাস দেওয়ার যে দক্ষতা ওর মধ্যে রয়েছে তা এককথায় অসাধারণ। এখনও পর্যন্ত ও যা খেলেছে, তাতে গোটা দল গর্বিত।"