রাশিয়া শুরু থেকেই মেয়েদের খেলাধুলোয় অনেক উৎসাহিত করেছে। এই কারণেই রাশিয়ান মেয়েরা দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক নাম করেছেন।
রাশিয়ার মহিলারা এখন জিমন্যাস্ট, সাঁতার এবং আইস স্কেটিং এর ঐতিহ্যবাহী খেলার বাইরে অন্যান্য খেলায় তাদের দক্ষতা প্রমাণের চেষ্টা করছে।
গত এক দশকে রাশিয়ার নারী খেলোয়াড়রাও রাগবি, হ্যান্ডবল, দাবা এবং কুস্তির মতো খেলায় দেশের জন্য খ্যাতি এনে দিয়েছে। বহু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছে তারা। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু তারকা নারী ক্রীড়াবিদ সম্পর্কে।
হ্যান্ডবলে, ২২ বছর বয়সী আনা ভ্যাখিরেভা আশ্চর্যজনক পারফর্ম করেছেন। তিনি রিও অলিম্পিক এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ী জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন।
আনা ভ্যাখিরেভার পারিবারের সদস্যরাও হ্যান্ডবল খেলেছেন। বাবা একজন কোচ এবং তাঁর বড় বোন পোলিনা কুজনেটকোভাও রিও অলিম্পিক্সে খেলেছেন।
৩৩ বছর বয়সী আলেকজান্দ্রা কোস্টেনিউক নিজেকে দাবা রানী বলে মনে করেন। ইনস্টাগ্রামে এই নাম লিখেছেন তিনি। বাবার নির্দেশে ছোটবেলায় দাবা শেখা শুরু করেন। তিনি ২০১৭ বিশ্ব দল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন।
রাশিয়ান মহিলা ভলিবল দল গত এক দশকে অসাধারণ পারফর্ম করেছে। এর কৃতিত্ব ৩৬ বছর বয়সী একেতেরিনা গামোভাকে দেওয়া যায়। তিনি তাঁর অধীনে ২০১৫ সালের মহিলা ইউরোপীয় ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। চোটের কারণে আগেই অবসর নিতে হয়েছে তাঁকে।
এখন তাঁর মেন্টরশিপে জুনিয়র দলটি উন্নতি লাভ করছে। এই জুনিয়র অনূর্ধ্ব-১৮ দলটি ২০১৭ সালে CEV মহিলা ইউরোপিয়ান ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে।
রাগবি রাশিয়ার জন্য সম্পূর্ণ নতুন খেলা। এই খেলা দশ বছর আগে শুরু করেছেন রাশিয়ার মেয়েরা। ২৬ বছর বয়সী বাইজাত খামিডোভা ছিলেন প্রথম মহিলা খেলোয়াড়, যিনি দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের বাসিন্দা এবং রাশিয়ার হয়ে খেলেছেন। নারী দল রাগবি ইউরোপ সেভেনস গ্র্যান্ড প্রিক্স সিরিজ জিতেছে।
কুস্তিতে, রাশিয়ার অনেক কুস্তিগীরকে সেরা কুস্তিগীরদের মধ্যে গণ্য করা হয়। ১৯৯০ সাল থেকে, মহিলারা কুস্তিতে প্রবেশ করেছে এবং অনেক ইতিহাস তৈরি করেছে। ২৭ বছর বয়সী ইরিনা কিয়েরিনা ওলোগনোভা বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে দেশকে তিনবার (২০০৫, ২০০৭, ২০১০) সোনা এনে দিয়েছেন।