সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি দিয়ে শুরু হতে চলেছে বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেটের মরশুম। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে। আপাতত ভিভিএস লক্ষ্মণের কড়া তত্ত্বাবধানে অনুশীলন চালাচ্ছে বাংলা ক্রিকেট দল। কিন্তু, এই ট্রফি জয়ের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে বাংলার। জবাবে লক্ষ্মণ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আসন্ন এই ট্রফিতে বাংলা ক্রিকেট দলের ভালো ফলাফল নিয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী।
লক্ষ্মণ বললেন, "আমি দলের প্রস্তুতির উপরে যথেষ্ট গুরুত্ব এবং জোর দিয়েছি। সেকারণে আসন্ন এই ট্রফিতে বাংলা ক্রিকেট দলের ভালো ফলাফল নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। আমার মতে, ওরা প্রত্যেকেই অসাধারণ অনুশীলন করেছে। দলের প্রত্যেকটা ক্রিকেটার যথেষ্ট পরিশ্রম করছে। লম্বা লম্বা নেট সেশন চলছে। বাদবাকিটা পুরোটাই ক্রিকেটারদের উপরে নির্ভর করছে। এই অনুশীলনের পর ওরা মাঠে কেমন পারফরম্যান্স করে।"
**প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছে দল**
লক্ষ্মণ বললেন, "বাংলা ক্রিকেট দলের প্রত্যেকটা ক্রিকেটারই নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রত্যেকেই খুব পরিশ্রমী। শেখার ইচ্ছে আছে। তবে একটা জায়গায় আমার মনে হয় এখনও উন্নতির দরকার রয়েছে। সেটা হল দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে। অন্য ব্যাটসম্যানদের উপরে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার বদলে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে হবে।"
**ভিন্ন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক**
আজ ক্রিকেটের ভিন্ন ফরম্যাটে আলাদা অধিনায়ক নিয়ে মুখ খুললেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, "আমি স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সিতে খুব একটা বিশ্বাসী নই। আপনাকে যদি অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়, তাহলে তিনটে ফরম্যাটেই সমান পারফরম্যান্স করার দক্ষতা থাকতে হবে। এতে দলের মধ্যে একটা ধারাবাহিকতা থাকে। সেইসঙ্গে এই সংস্কৃতি দলের পারফরম্য়ান্স অনেকটা উঁচুতে নিয়ে যেতে পারে।"
**বাংলা ক্রিকেট দলে অধিনায়ক হিসেবে ঈশ্বরণের ভূমিকা**
আমার মনে হয় না অধিনায়কত্বের কারণে অভিমণ্যু ঈশ্বরণের পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব পড়বে। বাড়তি দায়িত্ব পেলে, তার প্রভাব অবশ্যই ভালো হবে। সেকারণেই ও এতদিন ধরে বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ওর ব্যাটে তো রান আসছে। শুধুমাত্র বাংলাই নয়, ভারতীয় এ দলের হয়েও অভিমণ্যু যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছে। সেকারণে আমার মনে হয় না, বাংলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ওর ব্যাটিংয়ের উপরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে।
**বাংলা ক্রিকেট দলের তরুণ প্রতিভা**
সম্প্রতি বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জ আয়োজন করা হয়েছিল। এই টুর্নামেন্ট যে বাংলার ক্রিকেটের তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে অনেকটাই সাহায্য করেছে, তেমনটাই মনে করছেন লক্ষ্মণ। তিনি বললেন, "আমার মতে, বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জ বাংলার বহু তরুণ ক্রিকেটারের প্রতিভাকে তুলে আনতে সাহায্য করেছে। এই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার মজা হল, এরা শুধুমাত্র যে প্রতিভাবান তাই নয়, যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও বটে। এরা সহজেই চাপ নিতে পারে। টি-২০ ক্রিকেটে, সবথেকে বড় সমস্যা হল চাপের মুখে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। আমি এদের মধ্যে সেই গুণটাই দেখতে পাই। দু'একজনের নাম আলাদা করে হয়ত বলা কঠিন হবে। তবে এরা ব্যাটিং এবং বোলিং দুটো ক্ষেত্রেই অসাধারণ পারফরম্য়ান্স করছে।"