নীরজ চোপড়ার মতো কাঁধের জোর এবং হাতের শক্তি পেতে চান? তাহলে অনুসরণ করতে হবে তার ডায়েট চার্ট। কি খেয়ে তার শারীরিক শক্তি ধরে রেখেছেন, তা এখন চর্চার বিষয় নেটিজেনদের মধ্যে।
একসময় বিরাট কোহলির ডায়েট নিয়ে প্রবল চর্চা ছিল। এখনও বিরাটের ডায়েট গুগল সার্চে অন্যতম ট্রেন্ডিং। তার মধ্যে উঠে এসেছে এখন ভারতের নয়া সেন্সেশন নীরজ চোপড়ার ডায়েটও।
১৩ বছর পর স্বর্ণপদক। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে প্রথম স্বর্ণপদক আনার পর নীরজ চোপড়ার পোষাক-আশাক ফ্যাশন খাদ্যাভ্যাস, সবই এখন চর্চার তুঙ্গে।
টোকিও অলিম্পিকে নীরজ চোপড়া ৮৭.৫৮ মিটার জ্যাভলিন ছুঁড়ে স্বর্ণপদক নিজের নামে সুরক্ষিত করেছেন। এর আগে নীরজ কমনওয়েলথ সহ একাধিক বড় বড় ইভেন্টে গোল্ড মেডেল জিতেছেন।
এর পিছনে পরিশ্রমের পাশাপাশি তার ডায়েট এবং খাদ্যাভ্যাস এবং ফিটনেস ট্রেনিং অন্যতম সাফল্যের চাবিকাঠি। জানা আছে কি ? তাঁর শারীরিক সক্ষমতা টানা ধরে রাখতে কতটা পরিশ্রম এবং মেপে খাবার খেতে হয় ? ওয়ার্ক আউটের পাশাপাশি দিনে কি কি খাবার খেয়ে নিজেকে ফিট রাখেন, তা জেনে নেওয়া যাক।
নিজের মাংসপেশি মজবুত করতে নীরজ এমনিতে প্রতিদিন সকালে জিম সেশন এ সময় কাটান। সোশ্যাল মিডিয়াতে নীরজ নিজের পুশআপ, ট্রাইসেপস এবং ডেডলিফট এর মত ওয়ার্ক আউটের ছবি আপলোড করেছেন।
মজবুতির পাশাপাশি নীরজ বডির ফ্লেক্সিবিলিটির উপর পুরোপুরি খেয়াল রাখেন। এবং মাঠে বিভিন্ন রকম এক্সএরসাইজ করতে তাকে দেখা যায়। যাতে তাঁর শরীর ফ্লেক্সিবল থাকে। এ ধরনের প্র্যাকটিস কোনও আচমকা ইনজুরির সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
জিম এবং ফিল্ডে ঘাম ঝরানোর পাশাপাশি ইনস্ট্যান্ট এনার্জি জন্য প্রচুর প্রোটিন প্রয়োজন। কীভাবে প্রোটিন আসবে সেটি তিনি একটি ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন। নীরজ বলেন, তিনি ব্রেড-অমলেট খেতে খুব পছন্দ করেন এবং সপ্তাহে মাঝখানে কখনও ইচ্ছে হলেই ব্রেড অমলেট খান।
ব্রেকফাস্টে কি খান, জানিয়েছেন তিনি নিজেই, ডিম সিদ্ধ খাবার কথা বলা হলেও তিনি সাধের দিকে বেশি নজর দেন। বলেন, তিনি কখনও কখনও বিরিয়ানিও খেতে খুব পছন্দ করেন। নীরজ বলেন ভেজ বিরিয়ানি তিনি নিজেই বানিয়ে নেন। এটি পুষ্টিকর হওয়ার পাশাপাশি খুব স্বাদু হয়।
নীরজ জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট কিংবা ম্যাচের মধ্যে চলাকালীন বেশি ফ্যাট খাওয়া সম্ভব নয়। সেই সময় তিনি স্যালাড কিংবা ফল জাতীয় জিনিস বেশি খান ডায়েটে সেদ্ধ ডিম এবং গ্রিল চিকেন ব্রেস্ট খান। সঙ্গে স্যালমন মাছ। এই সমস্ত জিনিস থেকে তিনি তার প্রোটিনের যোগান জোগাড় করে নেন।
আপনারা জেনে অবাক হবেন, যে গোল্ডেন বয় ফুচকা খেতে খুব পছন্দ করেন। তিনি মাঝেমধ্যে ডায়েটে ফাঁকি দিয়ে ফুচকা খেয়ে নেন। তবে তারপর অবশ্য একটু পরিশ্রম করে নেন। তবে নীরজ জানান ফুচকা খেলে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। তিনি মনে করেন ফুচকা শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে থাকে।
নীরজ বলেন ফুচকাতে শুধু জলই থাকে যা শরীরে জলের চাহিদা মেটায় এবং তাঁর তেঁতুল শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। তবে যেকোন অ্যাথলিটকে রোজ ফুচকা খেতে বারণ করব। কিন্তু কখনও কখনও তা খেলে ক্ষতি হবে না। নীরজ বলেন, তিনি নিজের মায়ের হাতের বানানো চুর্মা খুব পছন্দ করেন।
চুর্মা এমন একটা খাবার, যা রুটি, চিনি এবং অনেক ঘি দিয়ে তৈরি করতে হয়। আখড়ায় তাঁদের ওখানে এই ধরনের খাবার খেয়ে কুস্তিতে নামেন কুস্তিগীররা। তার অত্যন্ত পছন্দের চুর্মা। জানিয়েছেন দেশের বাইরে যদি কোন প্রবলেম হয় তাহলে তিনি সেখানকার স্থানীয় খাবার এবং কুইজিন খুঁজে নিয়ে খেতে পছন্দ করেন। যদিও কড়া ডায়েটে থাকতে হয়, তবু তিনি স্বাদ নিতে ভোলেন না এবং তিনি তার সতীর্থ এবং সঙ্গে থাকা প্রতিযোগী অন্য খেলোয়াড়দের চিকেন কারি এবং বাটার চিকেন খেতে উৎসাহিত করেন।