করোনা আবহে দেশে প্রথম নির্বাচন পর্ব হয়েছে বিহারে। দেশে এখন করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। এই আবহে মঙ্গলবার বিহারে চলছে ভোট গণনা। মসনদে কে বসতে চলেছে নীতীশ না লালু-পুত্র তেজস্বী সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
নির্বাচনকালে যে হারে করোনা প্রকোপ বেড়েছিল অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে তিন দফায় ভোট পর্ব সেরেছিল নির্বাচন কমিশন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের জন্যও আলাদা বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল যাতে সকলেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
করোনার আবহে বিশ্বজুড়ে ৭০টি দেশ নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বিহার বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই আয়োজন করেছে কমিশন।
বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। প্রথম দফায় ২৮ অক্টোবর হয় ভোট গ্রহণ। ১৬ টি জেলায় ৭১ টি নির্বাচন কেন্দ্র নিয়ে হয় প্রথম দফা।
দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হয় ৩ নভেম্বর। এই দফায় ১৭ টি জেলায় ৯৪ টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। ছিল ৪২ হাজার পোলিং স্টেশন।
৭ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ১৫ টি জেলায় ৭৮ টি নির্বাচনী ক্ষেত্র নিয়ে ভোট গ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল এই নির্বাচনে।
পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজারেরও ব্যবস্তাহ করেছিল কমিশন। একাধিক গাইডলাইন মেনেই হয় ভোটগ্রহণ।
বিহারের নির্বাচন বাংলার জন্যও ইঙ্গিতবাহী। কারণ আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে বাংলায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। করোনা পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। বিহার নির্বাচন যথাসময়ে হলে বাংলাতেও নির্বাচন নির্ধারিত সূচি মেনে হবে বলেই ধরা হচ্ছে।