করোনা থেকে বাঁচতে কেন্দ্রের আয়ুষ মন্ত্রকের পরামর্শে অনেকেরই দৈনন্দিন পথ্য তালিকায় জুড়ে গিয়েছে মধু। উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরলে রয়েছে নানা রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। কিন্তু সম্প্রতি সিএসই-এর রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ডাবুর, পতঞ্জলি, বৈদ্যনাথ, ঝন্ডু, এপিস হিমালয়ের মতো নামী ব্র্যান্ডের মধুতেও নাকি ভেজাল মিলেছে!
ভারত ও জার্মানির ল্যাবে মোট ২২টি নমুনা পরীক্ষা চালিয়েছে সিএসই। সেখানে দেখা গিয়েছে, ৭৭ শতাংশ মধুই ভেজালযুক্ত! মোট ১৩টি ব্র্যান্ডের মধ্যে মাত্রা ৩টি সংস্থার মধুই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। তাহলে কী করে জানবেন, যে মধু খাচ্ছেন, সেটি খাঁটি কিনা? চলুন, জেনে নেওয়া যাক খাঁটি মধু চিনে নেওয়ার ৫টি কৌশল...
মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকতে পারে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি আর আকর্ষণীয়। শুধু তাই নয়, মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকে না।
বাটিতে বা গ্লাসে কিছুটা জল নিন। তার মধ্যে এক চামচ মধু দিন। যদি মধু জলের সঙ্গে সহজেই মিশে যায়, তাহলে বুঝবেন যে এটা নকল। আসল মধুর ঘনত্ব জলের চেয়ে অনেক বেশি। তাই তা সহজে জলে মিশবে না। এমনকি চামচ দিয়ে গুলে দিলেও মধু জলে মিশবে না।
একটি মোমবাতি নিয়ে সেটির সলতেটি ভাল ভাবে মধুতে ডুবিয়ে ভিজিয়ে নিন। এ বার আগুন দিয়ে ওই মোমবাতিটি জ্বালাবার চেষ্টা করুন। যদি মোমবাতি জ্বলে ওঠে, তাহলে বুঝবেন যে ওই মধু খাঁটি। আর যদি মোমবাতিটি না জ্বলে, তাহলে বুঝতে হবে যে ওই মধুতে জল মেশানো আছে।
এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি ব্লটিং পেপার এই তরল সম্পূর্ণ শুষে নেয়, তাহলে বুঝবেন এই মধু খাঁটি নয়।
এক টুকরো সাদা কাপড়ে খানিকটা মধু মাখিয়ে নিন। মিনিট ত্রিশেক পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দেখেন, কাপড়ে দাগ রয়ে গিয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে যে ওই মধু খাঁটি নয়।