সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনের ব্র্যান্ডিং রাইটসের জন্য বন্ধন ব্যাঙ্কের সাথে কলকাতা মেট্রোর চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুসারে এখন থেকে ওই স্টেশনের নাম হল “বন্ধন ব্যাঙ্ক সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশন।”
নভেম্বর ২০২০-তে মেট্রো যাত্রীদের স্মার্ট কার্ড ব্র্যান্ড করার মধ্যে দিয়ে কলকাতা মেট্রোর সাথে যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল এই উদ্যোগের মাধ্যমে তা আরও জোরদার হল।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রেলওয়ের ইতিহাসে কোনও বেসরকারি সংস্থাকে একটা গোটা স্টেশনের ব্র্যান্ডিং রাইটস দিয়ে দেওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা। কলকাতার মেট্রো পরিষেবাই দেশের সবচেয়ে পুরনো পরিষেবা। অন্যান্য বড় শহরে এরকম ব্যবস্থা একাধিক মেট্রো স্টেশনে দেখা যায়। কিন্তু ভারতীয় রেলওয়ে আর কলকাতার জন্য এটাই প্রথম দৃষ্টান্ত।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভেই বন্ধন ব্যাঙ্কের জন্ম হয়েছিল। ব্যাঙ্কের রেজিস্টার্ড অফিস আর হেড অফিসও সেক্টর ফাইভে, এই এলাকা কলকাতার প্রধান আই টি হাবও বটে। ভবিষ্যতে এই স্টেশনে প্রচুর যাত্রী সমাগমের সম্ভাবনাও আছে। কারণ হাওড়া ময়দান-নিউটাউন লাইন আর এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া লাইনের যাত্রীদের এই স্টেশনে গাড়ি বদলাতে হবে।
সেক্টর ফাইভে বিরাট সংখ্যক পেশাদার, বাণিজ্যিক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এই মেট্রো স্টেশন শিগগির বয়স এবং সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে বহু মানুষের যাতায়াতের জায়গা হয়ে উঠবে। মেট্রোই তাঁদের পছন্দের যানবাহন হবে।
কয়েক মাস আগে বন্ধন ব্যাঙ্কই প্রথম বিএফএসআই ব্র্যান্ড হিসাবে কলকাতা মেট্রোর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছিল স্মার্ট কার্ডের ব্র্যান্ডিং-এর জন্য। কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে ওই চুক্তিও ছিল প্রথম। তার আগে কখনও এই Rapid transit system কোনও বেসরকারি সংস্থার সাথে হাত মিলিয়ে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীকে একটা এক্সক্লুসিভ মাধ্যমে কাজে লাগায়নি।
এই সম্পর্কে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “কলকাতা মেট্রোর সাথে যুক্ত হতে পেরে আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। এই যৌথ উদ্যোগ কলকাতার নাগরিকদের প্রতি এবং সেক্টর ফাইভের যাত্রীদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের আরেকটা সুযোগ দিল।”
মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার, মনোজ যোশী মন্তব্য করেন, “মেট্রো রেলওয়ে অত্যন্ত আনন্দিত যে বন্ধন ব্যাঙ্কের মতো একটা দেশীয় সংগঠন স্টেশন ব্র্যান্ডিং-এর এই নতুন উদ্যোগে আমাদের সঙ্গী হয়েছে। এই শহরের জন্য প্রথম, এমন আরও একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি ব্যাঙ্ককে অভিনন্দন জানাই।”