চাল রপ্তানির ওপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার উপর বাসমতি চাল ছাড়া বাকি চালের রপ্তানিতে ২০ শতাংশ কর আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের দেওয়া কারণগুলি হল, খরিফ মরসুমে ধানের উৎপাদন হ্রাসের পূর্বাভাস, পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম বৃদ্ধি, পশুখাদ্যের জন্য চালের প্রাপ্যতা এবং ইথানল মিশ্রণের হ্রাস।
এ সবের পাশাপাশি এবার রেশনে দেওয়া চাল-গমের দামও বৃদ্ধির পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। কতটা বাড়তে পারে দাম? সূত্রের খবর, রেশনের চাল-গমের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৭ টাকা করে বাড়তে পারে।
তবে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রয়েছে। গণবণ্টন ব্যবস্থায় রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮১ কোটি দরিদ্র মানুষকে সস্তায় চাল-গম দেয় কেন্দ্র।
সব মিলিয়ে এতে খরচ হয় প্রায় ২,১৩,০৫২ কোটি টাকা। এই বাজেটই এবার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বছরে এই খাতে প্রায় ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে চাইছে কেন্দ্র।
এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে ৩ টাকা কেজি দরের চাল কিনতে হবে ১০ টাকা কেজিতে। পাশাপাশি, ২ টাকা কেজির গম রেশন দোকান থেকে ৯ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে দেশের সাধারণ গরিব মানুষকে।
বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য ‘অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা’-এ দেওয়া খাদ্যশস্যের দামও কেজিতে ১ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে নীতি আয়োগ। এই যোজনায় দেশের গরিব মানুষকে পরিবার পিছু মাসে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। অর্থাৎ, প্রস্তাব গৃহিত হলে খরচ বাড়বে এ ক্ষেত্রেও।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় গ্রামের ৭৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলের ৫০ শতাংশ গরিব মানুষকে চাল-গম এবং অন্যান্য দানাশস্য দেয় কেন্দ্র। এই প্রস্তাব গৃহিত হলে, খাদ্যশস্যের দামবৃদ্ধির পাশাপাশি উভয় ক্ষেত্রেই গড়ে ১০-১৫ শতাংশ গ্রাহকের নামও বাদ পড়তে পারে।
সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের প্রস্তাব গৃহিত হলে আগামী দিনে গ্রামের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ এবং শহরের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় চাল-গম এবং অন্যান্য দানাশস্য পাবেন। তবে এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন না মেলায় এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।