বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে চলা করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক দেশেরই অর্থনীতি বিপর্যস্ত! ভারতের অর্থনীতিতেও করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব প্রড়েছে।
গত বছরে করোনার ফলে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই।
সংসার চালাতে ঋণ নিয়েছেন, ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়েছেন অনেকে। কারও গৃহঋণের তো কারও আবার ব্যক্তিগত ঋণের মাসিক কিস্তি বাকি পড়েছে। সব মিলিয়ে দ্রুত তলানিতে এসে ঠেকছে সঞ্চয় আর বাড়ছে দেনার পরিমাণ।
স্টেট ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অধিকাংশ গৃহস্থালীর ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন আর প্রবণতা— দুটোই বেড়ে গিয়েছে। পাশাপাশি পরিবারগুলির সঞ্চয় অনেকটাই কমেছে।
SBI ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ৫.৫ শতাংশ অতিরিক্ত ঋণের বোঝা চেপেছে দেশের সাধারণ মানুষের উপর।
সম্প্রতি প্রকাশিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে অনেকটাই কমেছে ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের পরিমাণ। ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের পরিমাণ ক্রমশ কমছে।
মিউচুয়াল ফান্ড, এসআইপি-র মতো বাড়তি সুদ বা সঞ্চয় বৃদ্ধির অন্যান্য উপায়গুলি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। তবুও অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে এখনও দেশের অধিকাংশ মানুষ ব্যাঙ্কের উপরেই ভরসা রাখেন।
করোনা অতিমারীর কারণে পেশাগত সঙ্কট ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব্যয় বৃদ্ধির ফলে ক্রমশ কমছে মানুষের সঞ্চয়, বাড়ছে ঋণের বোঝা। মানুষের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে SBI ইকনমিক রিসার্চ ডিপার্টমেন্টের এই রিপোর্টে।