লকডাউন বা করোনা বিধি-নিষেধের মধ্যেও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে Kolkata Metro Rail সম্প্রসারণের কাজ। সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চললে এ মাসের মধ্যেই ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সম্প্রসারিত রুটে ট্রায়াল রান সেরে ফেলা হবে।
শুরু হয়েছে ট্রায়াল রান। এই ট্রায়াল রানের ফলাফলের উপর নির্ভর করে কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি (CRS)-এর কাছে যাত্রী পরিষেবা চালুর জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্রের আবেদন করা হবে।
এই ট্রায়াল রানে মেট্রো রেলের সমগ্র যাত্রাপথের ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম, স্ক্রিন ডোর, সিগন্যালিং ব্যবস্থা-সহ নতুন স্টেশনের যাবতীয় পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হবে। এ বছরের মধ্যেই ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে Kolkata Metro Rail।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় শিয়ালদহের জন্য থাকছে বিশেষ ধরনের প্ল্যাটফর্ম। বিপুল সংখ্যক যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম করা হচ্ছে শিয়ালদহের জন্য। অন্যান্য মেট্রো স্টেশনে দু’টি প্ল্যাটফর্মের দু’টি সারিতে স্ক্রিন ডোরের ব্যবস্থা থাকছে। তবে শিয়ালদহ স্টেশনে ৪টি সারিতে স্ক্রিন ডোরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম কী? মেট্রোর দু’টি লাইনের জন্য থাকছে ৩টি প্ল্যাটফর্ম। এর ফলে ট্রেনের দুই পাশ দিয়েই যাত্রীরা প্লাটফর্মে নামতে বা ট্রেনে উঠতে পারবেন। প্ল্যাটফর্মের দু'পাশেই স্ক্রিন ডোরের ব্যবস্থাও থাকছে।
শিয়ালদহের পাশাপাশি ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম করা হচ্ছে এসপ্ল্যানেড স্টেশনেও। সেখানেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যায় যাত্রীর আনাগোনার সম্ভাবনায় ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম করা হচ্ছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এই সম্প্রসারিত রুট সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর (Sector V) থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ১৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রুটের ৫.৮ কিলোমিটার পথে ট্রেন মাটির উপর দিয়ে ছুটবে। বাকি ১০.৮ কিলোমিটার দূরত্ব মাটির নীচে দিয়ে অতিক্রম করবে মেট্রো রেল।
৫ অক্টোবর, ২০২০-তে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রাপথের সম্প্রসারণ হয় ফুলবাগান পর্যন্ত। এবার ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মেট্রো চালু হওয়ার অপেক্ষা। ট্রায়াল রানের ফলাফলে সাফল্য এলে, সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চললে চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ চালু হতে পারে বহু প্রতীক্ষিত শিয়ালদহ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেলের পরিষেবা।