বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, রাজ্যে চালু হবে 'দুয়ারে রেশন' ব্যবস্থা। সেই প্রতিশ্রুতি মতো ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে চালু হলো 'দুয়ারে রেশন' ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবারই বীরভূমের সিউড়ির হাটজান বাজার ৩৬ নম্বর প্লট এলাকায় প্রথম গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে রেশন সামগ্রী। শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় 'দুয়ারে রেশন' পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
রাজ্যের খাদ্য দফতরের উদ্যোগে আপাতত মোট ২৮টি রেশন দোকান থেকে চাল-গম গ্রাহকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজ্যের বিধিবদ্ধ রেশন (SR) এলাকার ৫টি সাব কন্ট্রোলের প্রত্যেকটির একটি করে দোকানে এবং সংশোধিত রেশন (MR) এলাকার আওতায় থাকা ২৩টি জেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে দোকানের মাধ্যমে দুয়ারে রেশন পরিষেবা দেওয়া হবে।
দক্ষিণ কলকাতার চেতলা হাট রোড, বরানগরের কুঠিঘাট, হাওড়ার বালি ঘুসুড়ির ডাক্তার হেমেন্দ্র কুমার চ্যাটার্জি স্ট্রিট, হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ নিউ মার্কেট, উত্তর কলকাতার হেদুয়ার নয়নচাঁদ দত্ত স্ট্রিটের একটি দোকান এই দুয়ারে রেশন পরিষেবা দেওয়ার তালিকায় রয়েছে।
জানা গিয়েছে, রেশন ডিলারদের সংগঠনের সাহায্যে এই দুয়ারে রেশন ‘পাইলট প্রজেক্ট’ পরিচালিত হবে। শুক্রবারের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে খাদ্য পরিবহণ আর প্যাকেজিংয়ের খরচ বহন করবেন রেশন ডিলাররাই।
দুয়ারে রেশন ‘পাইলট প্রজেক্ট’-এর কর্মসূচি পরিদর্শন করতে রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকানে যাবেন।
শুক্রবারের কর্মসূচির সাহায্যে দুয়ারে রেশন পরিষেবাটি কী ভাবে দেওয়া যায়, তার পরিকল্পনা তৈরি করতে রেশন ডিলার সংগঠনকে পাশে নিয়ে গোটা বিষয়টি দেখে নিতে চান রাজ্যের খাদ্য দফতরে আধিকারিকরা।
কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ধরে রাখতে দুয়ারে রেশন পরিষেবার ক্ষেত্রেও 'পস' মেশিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদা মতো ছোট গাড়িতে করে রেশনের সামগ্রী তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন ডিলাররা।