Hilsa Price in Kolkata: প্রায় মাস খানেকের খারা কাটিয়ে বাজারে ফিরেছে টাটকা ইলিশ। ফলে মধ্যবিত্তর কিছুটা নাগালের মধ্যে নেমেছে ‘রুপোলি শস্য’র দাম। শ’চারেক টাকাতেই ব্যাগে ৫০০-৫৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ তুলে নেওয়া যাচ্ছে।
নিম্নচাপ আর বিপরীতমুখী স্রোতের কারণে প্রায় সপ্তাহ তিনেকের বেশি সময় ধরে ইলিশ ধরতে যেতে পারছিলেন না জেলে-মাঝিরা। ফলে বাংলার বাজারে টাটকা মাছের জোগানে ব্যাপক ঘাটতি পড়ে যায়।
জোগানের অভাবে মাছের দাম হু হু করে বেড়েছে। হাওড়া-কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার জানান, টাটকা মাছের অভাবে ইলিশের দাম সপ্তাহ তিনেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
তবে প্রায় একমাসের খরা কাটিয়ে গত দুই-তিন দিন ধরে বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে টাটকা ইলিশ। আদিত মজুমদার জানান, জালে বড় মাছ সেভাবে ধরা না পড়লেও ছোট এবং মাঝারি মাপের ইলিশের জোগান বেড়েছে বাজারে।
মানিকতলা, পাতিপুকুর, বালিগঞ্জ বাজারে এখন গুজরাত-ওড়িশা থেকে আমদানি করা ইলিশের পাশাপাশি ৪০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের টাটকা মাছ অপেক্ষাকৃত কম দামে কেনার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।
মোটামুটি ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ‘খোকা’ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকা কেজি দরে, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দর এখন ৭০০-৭৫০ টাকা।
মোটামুটি ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-১,০০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম এখন ১২০০-১৩০০ টাকা।
৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দর এখন ১,৪০০-১,৫০০ টাকা। আর এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের মাছের দর শুরু হচ্ছে কেজিতে ১,৭০০-১,৮০০ টাকা থেকে।
গুণমান আর ওজনের ভিত্তিতে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ইলিশের দামের হের ফের হচ্ছে। মানিকতলা, পাতিপুকুর, বালিগঞ্জ বাজারে চেয়ে লেক মার্কেট, ড়িয়াহাট, কসবা হাতিবাগান বাজারে মাছের দর বেশ কিছুটা চড়া।