গোটা পৃথিবীর আর্থিক মন্দার আশঙ্কার পরে সোনার দাম পড়তে শুরু করেছে। যা এখনও জারি রয়েছে। সাধারণভাবে মন্দা, যুদ্ধ ইত্যাদি সংকটের কারণে সোনার দাম বাড়ে।
কিন্তু এবার পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। আমেরিকার ট্রেজারি ইয়েল্ড বাড়া এবং ডলারের মজবুত হওয়ার কারণে সোনার দাম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাব ঘরোয়া বাজারেও দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আজকে দাম কমতে কমতে ১৬মাসে সবচেয়ে সস্তা হয়েছে।
এ কারণে কম হয়েছে সোনার দাম। আমেরিকার ডলারের গত কিছু সময় ধরে লাগাতার দ্রুততা এবং তেজির কারণে ডলার কুড়ি বছরের সবচেয়ে উঁচু স্তরে পৌঁছে গিয়েছে।
সেখানে আমেরিকা ট্রেজারি ইয়েল্ড ১০ বছরের সবচেয়ে বেশি হয়েছে এ কারণেই লগ্নিকারীদের সামনে সুরক্ষিত লগ্নির এবং ভালো রিটার্নের উপায় রয়েছে।
সোনা সমেত অধিকাংশ মূল্যবান জিনিসের দাম পড়তে শুরু করেছে এবং এর বড় কারণ এটাই যে (Federal Reserve) এর সুদ এর হার বাড়তে থাকায় এতে সুবিধে হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ নীতিগত বৈঠকে সুদের হার এক ঝটকায় সুদের হার (Federal Reserve Rate Hike) .৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে পারে।
ঘরোয়াবাজারে কথা বলতে গেলে IBJA এর অনুসারে বৃহস্পতিবার ২৪ ক্যারেটওয়ালা সোনা ৩৭১ টাকা পড়ে ৫০ হাজার ১৮২ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ২৩ ক্যারেটওয়ালা সোনা পড়ে ৪৯ হাজার ৯৮১ টাকা প্রতি ১০ গ্রামে এসে নেমেছে।
২২ ক্যারেটওয়ালা সোনা ৪৫ হাজার ৯৬৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৩৭ হাজার ৬৩৭ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম ঘরোয়া বাজারে সস্তা হয়েছে এবং ১৪ ক্যারেটের সোনা ২৯ হাজার ৩৫৬ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম হয়েছে। এটি গত ১৬ মাসে সবচেয়ে কম দাম।
বেসিক ইমপোর্ট ডিউটি বাড়ানো প্রভাব পড়েনি। সরকার সম্প্রতি সোনার আমদানিতে বেসিক ইমপোর্ট ডিউটি বাড়িয়ে ১২.৫% করে দিয়েছে। এতে এর আগে এর দাম ৭.৫ শতাংশ ছিল। পৃথিবীর দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় সোনা উপভোক্তা ভারত।
ঘরোয়া প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার পর ভারতকে বেশিরভাগ সোনা আমদানি করতে হয়। কাঁচা তেলের পর সোনা ভারতের সবচেয়ে বড় ইমপোর্ট বিলে কম্পোনেন্ট। গ্লোবাল মার্কেটে দাম কমায় ভারতের সোনা সস্তা হচ্ছে। আসন্ন সময়ে সোনা আরও সস্তা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।