নিজের বাড়ি বা একটা ফ্ল্যাটের স্বপ্ন সবারই। সেজন্য কঠোর পরিশ্রমও করেন অনেকে। না খেয়েও পাই পাই বাঁচিয়ে সঞ্চয় করেন। তবে আজকাল আর বছর বছর ধরে সঞ্চয় করার দরকার পড়ে না। সহজ শর্তেই মেলে হোম লোন। তবে গৃহঋণের নানা ঝক্কি রয়েছে। অনেকেই কিছু না জেনেই ঋণ নিয়ে ফেলেন। পরে পস্তাতে হয়। যে কোনও ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার আগে জেনে নেওয়া দরকার কোথায় কোথায় ঠিক কতটা খরচ করতে হবে।
হোম লোনের জন্য আবেদন করার পরে ঋণের অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন খরচ বহন করতে হয়। সেটা নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রসেসিং ফি, স্ট্যাম্প ডিউটি চার্জ থেকে আইনি খরচ। ব্যাঙ্ক ও হাউজিং সংস্থা প্রসেসিং ফি আলাদা হয়। এছাড়াও ঋণের জন্য আবেদন এবং বাড়ি বা ফ্ল্যাট যাচাইয়ের খরচও গ্রাহকের কাছ থেকে নেয় ব্যাঙ্কগুলি।
হোম লোনের জন্য আবেদন করার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখুন। প্রথমেই অনেকগুলি ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে খোঁজখবর নিন। জানুন কে কম সুদে, সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। অনেক ব্যাঙ্ক অতিরিক্ত প্রসেসিং ফি নেয়। একাধিক জায়গার তথ্য হাতে থাকলে আপনিও দরদাম করতে পারবেন।
প্রতিটি ব্যাঙ্কের প্রসেসিং ফি আলাদা। যে সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং হাউজিং কোম্পানিগুলি হোম লোন দেয়, তাদের জন্য আলাদা প্রসেসিং চার্জ রয়েছে।এই চার্জ ঋণের পরিমাণের দুই শতাংশ হতে পারে। হাউজিং কোম্পানি গৃহঋণের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কোনও কোনও ব্যাঙ্কে প্রসেসিং ফি ঋণের পরিমাণের মাত্র ০.৫ শতাংশ। আবেদন করার আগে চার্জগুলি দেখে নেওয়া দরকার।
শুধু প্রসেসিং ফি নয়,হোম লোন নেওয়ার সময় আরও খরচ রয়েছে। যেমন- গৃহঋণে অনুমোদন দেওয়ার আগে ব্যক্তির চাকরি, সম্ভাব্য বাড়ি বা ফ্ল্যাটের অবস্থা ইত্যাদি যাচাই করে ব্যাঙ্ক। এ সংক্রান্ত চার্জ গ্রাহকের থেকে নেওয়া হতে পারে। তাই সাবধান!এ ছাড়া ঋণ চুক্তির স্ট্যাম্প ও নোটারি চার্জও আবেদনকারীর কাছ থেকে নেওয়া হতে পারে।
অনেক সময় ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর কোনও কারণে ফ্ল্যাটের মালিকানা দেন না প্রোমোটার। সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক এবং হাউজিং সংস্থাগুলি প্রি-ইএমআই চার্জ করে। এতে শুধু কিস্তির সুদের পরিমাণ থাকে।