অপ্রচলনের কারণে বাজার থেকে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের নভেম্বরে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ২২৩.৩০ কোটিতে নেমে এসেছে। এটি দেশে প্রচলিত মোট নোটের প্রায় ১.৭৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে, ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল ৩৩৬.৩ কোটি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রচলিত মুদ্রার কাগুজে নোটের মোট মূল্যের ৮৫.৭০ শতাংশই হল ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট। এর মধ্যে দেশে প্রচলিত মোট কাগুজে নোটের ৩১.১০ শতাংশই হল ৫০০ টাকার নোট।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরে ২০০০ টাকার আর একটিও নোট ছাপাবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
দেশে শুধুমাত্র ১ টাকার নোট ছাপে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বাকি সমস্ত নোটই ছাপায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তবে ১ টাকা থেকে ২০০০ টাকা— সব নোটই বাজারে আসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মারফত।
ভারতে মোট চারটি জায়গায় নোট ছাপানো হয়। এই চারটি জায়গার মধ্যে দু’টি কেন্দ্রীয় সরকারের এবং দু’টি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধিনে। কেন্দ্রের দু’টি নোটের ছাপাখানা রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাসিক আর মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দু’টি নোট ছাপাখানার একটি পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে আর অন্যটি কর্নাটকের মাইসুরুতে। কিন্তু জানেন কি দেশের কত টাকার নোট ছাপতে কত খরচ টাকা খরচ হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
একটি ১০ টাকার বা ৫০ টাকার নোট ছাপতে খরচ হয় ১ টাকা ১ পয়সা, ২০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ১ টাকা। ১০০ টাকার এক একটি নোট ছাপতে খরচ পড়ে দেড় টাকার মতো (১ টাকা ৫১ পয়সা)।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০ টাকার এক একটি নোট ছাপতে খরচ পড়ে ২ টাকা ৯৩ পয়সা, যেখানে একটি ৫০০ টাকার ছাপতে খরচ হয় মোটামুটি ২ টাকা ৯৪ পয়সা। আর ২০০০ টাকার গোলাপি নোট ছাপতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের খরচ হয় ৩ টাকা ৫৪ পয়সা।